বাড়িওয়ালা কর্তৃক মামলার সুষ্ঠ তদন্তের দাবীতে সাবেক সেনা সদস্যের সংবাদ সম্মেলন
প্রেসবাংলা ২৪. কম: বাড়িওয়ালাসহ তার ছেলে এবং মেয়ে কর্তৃক হামলা ও মামলার সুষ্ঠু তদন্ত সহ আমাদের ভাড়া বাসায় বিনা নোটিশে তালা ঝুলিয়ে দেয়ার ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন সাবেক সেনা সদস্য মোহাম্মদ আলী।
শনিবার (৬ এপ্রিল) বিকালে নগরীর একটি রেস্টুরেন্টে পরিবার নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী সাবেক সেনা সদস্য মোহাম্মদ আলী লিখিত বক্তব্যে জানান, বাড়িওয়ালাসহ তার ছেলে এবং মেয়ে কর্তৃক হামলা ও মামলার সুষ্ঠু তদন্ত সহ আমাদের ভাড়া বাসায় বিনা নোটিশে তালা ঝুলিয়ে দেয়ায় ঘর ছাড়া পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছি। আমি মোহাম্মদ আলী আমি একজন সাবেক সেনা সদস্য। যাহার বিজেও নং: ১৮৯৬৬ ওয়া, অফিসার (সমস)। ইউনিট- এএসসি। সাং লক্ষণখোলা, থানা বন্দর, জেলা: নারায়ণগঞ্জ। বর্তমানে ৭/১ শেরেবাংলা রোড, এনায়েতনগর, আব্দুল মালেকের বাড়ির ভাড়াটিয়া। আমি ভাড়াটিয়া হিসাবে বিগত তিন বছর যাবৎ বসবাসরত আছি। গত-১৫ মার্চ দুপুর অনুমান আড়াইটায় তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে
বাড়িওয়ালা আব্দুল মালেক তার মেয়ে মনিরা জামান মলি ও ছেলে রোমান , আমার পরিবারের সহিত দ্বন্দ্বে লিপ্ত হয় এবং আমাকে সহ আমার স্ত্রী মাকসুদা আক্তার এবং আমার স্কুল পড়ুয়া মেয়ে আদিবা ফারহিন (১৫) কেও মারধর করে আহত করে। বিষয়টি গন্যমান্য ব্যক্তিরা মিমাংশা করার চেষ্টা করিলে তাহা উপেক্ষা করে মলি নিজে আইনজীবী বিধায় বাদী হয়ে গত-২৯ মার্চ ফতুল্লা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করে যাহার মামলা নং- ৬৪ (০৩)২৪। পরে আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে উক্ত মামলায় জামিন আবেদন করে আদালতের শরণাপন্ন হই এবং বিজ্ঞ আদালত আমার স্ত্রীকে জামিন দিলেও আমাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। ওইসময় আমার স্ত্রী জামিন প্রাপ্ত হয়ে আমার ভাড়াটিয়া বাসায় গত-৩১ মার্চ সন্ধ্যা ০৬ টায় সময় গিয়া দেখতে পায় যে, বিবাদীরা আমার বসবাসরত ফ্লাটের মূল ফটকে আমার দেয়া তালার উপরে আরেকটি তালা দিয়া তালাবদ্ধ করে রেখেছে। বাড়িওয়ালাকে আমার স্ত্রী জানালে তার মেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে আসে। খোলে দিতে অস্বীকৃতি জানায়।
বাসায় আর ঢুকতে নিষেধ করে দেয়। অতঃপর সন্ধ্যায় আমার স্ত্রী ফতুল্লা মডেল থানায় গিয়ে সহযোগীতা চায়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই কামরুজ্জামান এবং ওসি তদন্ত তসলিম কে এ বিষয় সম্পর্কে অবগত করালে তারা আমার স্ত্রী কে থানায় একটি জিডি এন্ট্রি করার পরামর্শ দেন। এ সময় থানার অফিসার ইনচার্জ নুরে আযম এর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে তার কথামত সন্ধ্যা ৭:৩০ থেকে রাত সাড়ে ১০ টা অবধি অপেক্ষার পর তিনি থানায় এলে তাকে বিষয়টি জানালে এবং লিখিত জিডি এন্ট্রি জমা দেয়ার ইচ্ছে পোষণ করে স্ত্রী, কিন্তু তিনি জিডি নিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এবং আমার স্ত্রীকে তিনি নিজে গিয়ে তালা ভেঙে বাসায় প্রবেশ করার মৌখিক পরামর্শ দেন। পাশাপাশি তিনি এ তালা ভাঙতে পারবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন। অথচ আমি তালা ভেঙ্গে ফেলতে হবে এমন উদ্দেশ্য ছিল না। আমি শুধু আইনগতভাবে তদন্ত সাপেক্ষে পুলিশের সহযোগীতা চেয়েছি। যেন বাড়িওয়ালা মানবিক বিবেচনা করে হলেও আমার স্ত্রীকে ও আমার মেয়েকে তার ভাড়াকৃত বাসায় প্রবেশ করতে দেয়। তবে তা না হওয়ায় অতঃপর আমার স্ত্রী উপস্থিত পরিচিত এক বোনের আশ্রয়ে রাত্রিযাপন করে মানবেতর জীবন কাটায়। পরবর্তিতে গত ০৩ এপ্রিল আমি বিজ্ঞ আদালতের জামিনে মুক্ত হয়ে আমি সে বাড়িতে গেলে আমাকেও অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করেন। এমনকি হুমকী ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। এমতাবস্থায় আজ এখন অবধি আমি ও স্ত্রীসহ আমার স্কুল পড়ুয়া কিশোরী মেয়েটিকে সাথে নিয়ে এক কাপড়ে গৃহহারা অবস্থায় রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছি।
এ সময়ে তিনি আমাদের নিজ ভাড়া দেয়া বাসায় প্রবেশ করে এবং বাড়িওয়ালা তার ছেলে এবং কন্যার হুমকী ও অত্যাচার থেকে মুক্তি পেতে সহযোগীতা কামনা করেন।