ফতুল্লায় আবাসিক এলাকায় অবৈধ এসিড ও ক্যামিকেল তৈরির কারখানা, এলাকাবাসীর প্রতিবাদ
প্রেসবাংলা ২৪. কম: নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় আবাসিক এলাকায় দেওয়ান মোঃ শাহজাহান মিয়া লাইসেন্স ছাড়া অবৈধ ভাবে গড়ে তুলেছে এসিড ও ক্যামিকেল তৈরির কারখানা। ঝুকিপূর্নকে তোয়াক্কা করে অবৈধ এসিড মিশ্রিত করে ক্যামিকেল তৈরি করে বাজারজাত করছে এমন অভিযোগ এলাকাবাসীর। তবে স্থানীয় লোকজন অবৈধ এসিড ও ক্যামিকেল কারখানার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে পুলিশকে ব্যবহার করে অবৈধ ব্যবসাকে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেছে। আর পুলিশও অতি উৎসাহি হয়েও প্রতিবাদকারী দুইজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
বুধবার (৬ মার্চ) দুপুরে ফতুল্লার মুসলিনগর প্রেম রোডস্থ টিনের মসজিদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে এলাকাবাসীর অভিযোগ লাইসেন্স ছাড়া অবৈধ ভাবে এসিড দিয়ে ক্যামিকেল তৈরি কারখানার বিরুদ্ধে স্থানীয় লোকজন প্রতিবাদ করায় শাহজাহান মিয়া ফতুল্লা মডেল থানার এসআই সাইফুল ইসলাম ও এএসআই রাজু শেখের সাথে আলোচনা করে অবৈধ ব্যবসার ধামাচাপা দিতে একটা মিথ্যা চাঁদাবাজি অভিযোগ দায়ের করা হয়। পরে পুলিশের নীলনকশায় শাহজাহান মিয়া ঘটনাস্থলে পুলিশ নিয়ে যায়। আর পুলিশও ঘটনার আসল তদন্ত না করে অবৈধ এসিড ও ক্যামিকেল ব্যবসায়ীর পক্ষ নিয়ে গাফ্ফার ও জামাল মোল্লা নামের দুইজনকে আটক করে।
এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার আব্দুল জলিল জানান, লাইসেন্স ছাড়া এসিড ও ক্যামিকেল ব্যবসা বিরুদ্ধে স্থানীয় লোকজন প্রতিবাদ সহ কারখানা চালাতে বাধা দিয়েছে এমন সংবাদ পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাই। কিছুক্ষণ পর পুলিশ আসলে দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতার আলোচনা বসলে পুলিশ কারো কথা শুনে দুইজনকে আটক করে নিয়ে যায়। আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে কার কাছে কে বা কাহারা চাঁদা দাবি করেছে তার কোন প্রমান পাওয়া যায়নি। আমরা চেয়েছিলাম বিষয়টা নিয়ে বসে আলোচনা করে সমাধান করে দেয়া। কিন্তু পুলিশ আমাদের সেই সুযোগ টা দেয় নাই।
দেওয়ান শাহজাহান মিয়ার সাথে কথা বললে তিনি জানান, এলাকার কয়েকজন লোক আমার কারখানায় তালা মেরে দিয়েছে। এলাকার কিছু পোলাপাইন আমার ম্যানেজারের কাছে টাকা দাবি করেছে। পরে থানায় অভিযোগ দিয়েছি শুধু আমার সমস্যার সমাধানের জন্য। আমি চাইনি পুলিশ কাউকে আটক করে নিয়ে যাক।
ফতুল্লা মডেল থানার এসআই সাইফুল ইসলাম সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এসিড ও ক্যামিকেল ব্যবসার অনুমোদন তো আর পুলিশ দিবে না। ব্যবসা বৈধ না অবৈধ এটা আমরা দেখবো না। চাঁদার দাবিতে গোডাউনে তালা দিয়েছে সেই অভিযোগ পেয়ে আমরা দুইজনকে আটক করে নিয়ে এসেছি। ঘটনার তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।