বিয়ের আংটি পড়ানো হলো না ইমনের, সাথে ঝরল আরও ৮ প্রাণ
বিশেষ প্রতিবেদক, প্রেসবাংলা২৪ডটকম: কনের জন্য বিয়ের আংটি নিয়ে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় যাচ্ছিলেন সৌদি প্রবাসী ইমন। সাথে ছিল পরিবার ও আত্মীয়-স্বজন। কিন্তু তাদের বহনকারী গাড়িটি হবিগঞ্জের নবীগঞ্জের কান্দিরগাঁও এলাকায় দূঘর্টনায় পতিত হয়। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায় ইমন। সাথে আরও ৭ জন। গুরুতর আহত অবস্থায় ৬জনকে সিলেটের ওসমানী হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধানী অবস্থায় আরও ২ জনের মৃত্যু হয়।
নিহত ৯ জনের মধ্যে ৭ জনের নাম পাওয়া গেছে। তারা হলেন- বর ইমন খান ও তার বাবা আব্বাস উদ্দিন। অন্য পাঁচজন হলেন- রাজীব, মহসিন, রাব্বী, আসমা (৩৬) ও সুমনা (৩৫)। নিহতরা সবাই কাছের আত্মীয়। ৮ জনের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সুমনার মৃত্যু হয়।
আহতদের মধ্যে রফিকুল, নাদিম ও নিহত সুমনার শিশু কন্যা খাদিজা সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তাদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
নিহত ও আহতদের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সিলেটগামী একটি মিনিবাস শুক্রবার সকাল ৭টায় নবীগঞ্জ উপজেলার কান্দিরগাঁও নামক স্থানে পৌছালে এর চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। একপর্যায়ে মিনিবাসটি রাস্তার পাশে গাছের সাথে ধাক্কা গাড়িটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই নারীসহ ৮ জন মারা যান। খবর পেয়ে শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহগুলো উদ্ধার করে। আহতদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার পালসহ কর্মকর্তারা।
নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিশ^জিত কুমার পাল জানান, নিহত ও আহতদের পরিবারকে সব ধরণের সহযোগিতা করা হবে।
শেরপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এরশাদুল হক ভূঁইয়া জানান, নিহতদের পরিবারের সদস্যরা মোবাইলফোনে পুলিশকে জানিয়েছেন তারা ইমনের সঙ্গে বিয়ের জন্য ঠিক করা মেয়েকে আংটি পরাতে সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে যাচ্ছিলেন। পথে দুর্ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফতুল্লা থেকে নিহতদের স্বজনরা রওয়ানা হয়েছেন। মরদেহগুলো হাইওয়ে থানায় রাখা হয়েছে। পরিবারে লোকজন এলে হস্তান্তর করা হবে।