গ্রেফতারের ভয়ে পলাতক কামাল, সুলতান ও আলমগীর সহ ১২ আসামী সার্কেল এসপি অফিসে হাজির হয়নি
প্রেসবাংলা ২৪. কম: রাষ্ট্রবিরোধী নাশকতাসহ সহ একাধিক অপরাধমূলক মামলার আসামী প্রতারক কামাল প্রধান, ভেজাইল্যা সুলতান মাহমুদ ও মাদকাসক্ত আলমগীর সহ ১২ আসামীকে থানা পুলিশ নোটিশ দেওয়ার পরও নারায়ণগঞ্জ সদর ‘ক’ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ১১ মে গ্রেফতারের ভয়ে হাজির হয়নি প্রতারকচক্র। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গত ৫ মে আসামীদের হাজির হওয়ার জন্য ২২১২(৩)/১ স্মারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা, ফতুল্লা মডেল থানা ও বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।
জানা যায়, হেফাজত মামলার জেলখাটা আসামী ভেজাইল্যা সুলতান ও অপপ্রচারকারী কামাল প্রধান কর্তৃক হত্যার পরিকল্পনা এবং সোসাল মিডিয়ায় অপপ্রচারের বিরুদ্ধে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার মহাসচিব খন্দকার মাসুদুর রহমান দিপু ন্যায় বিচারের প্রত্যাশায় এবং অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে নারায়ণগঞ্জ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগটি আমলে নিয়ে জেলা প্রশাসক নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপারকে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেন। নির্দেশনা অনুযায়ী নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার গত ২৮ এপ্রিল ‘ক’ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসএম জহিরুল ইসলামকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেন। পরবর্তীতে বাদী সাংবাদিক দিপুসহ ১২ আসামী ভেজাইল্যা সুলতান মাহমুদ, কামাল প্রধান, আলমগীর, রাজু আহম্মেদ, মোঃ সোলেমান, অন্তরা ইসলাম নিপা, রূপালী আক্তার, জলি বেগম, মন্ডল রুহুল আমিন, জসিম উদ্দিন, হাফিজ প্রধান ও সুমাইয়াকে ১১ মে ফতুল্লা থানার দোতলায় এএসপি ‘ক’ সার্কেলের কার্যালয়ে হাজির হওয়ার জন্য নোটিশ জারী করেন থানা পুলিশ। কিন্তু বাদী স্বশরীরে সময়মতো হাজির হলেও প্রতারক চক্র গ্রেফতারের ভয়ে পুলিশ প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে হাজির হয়নি। যার ফলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিষয়টি গুরুত্বের সহিত নিয়ে যথাযথ প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস প্রদান করেন বাদী পক্ষকে। উল্লেখ্য যে, বাদি বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করায় উপরোক্ত আসামী কামাল প্রধান বাদির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালায় এই মর্মে বিবাদীদের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ আদালতে দুটি মামলা চলমান থাকায় বাদী সাংবাদিক মাসুদুর রহমান দিপুকে মামলা উঠিয়ে নেওয়ার জন্য হুমকি থামকি ও চাপ সৃষ্টি করে আসছে বিবাদি এবং বিভিন্ন ভুয়া ফেসবুক আইডি খুলে সোসাল মিডিয়ায় অপপ্রচার চালিয়ে চাঁদা দাবি সহ মানসম্মান ক্ষুন্ন করছে। সর্বশেষ জানাযায় বিবাদির বিরুদ্ধে প্রশাসন দ্রæত আইনগত ব্যবস্থ্যা গ্রহন করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমুলক সাজা প্রদান করবে।