ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে জমি দখলের অভিযোগ মহিউদ্দিন মেম্বারের বিরুদ্ধে
প্রেসবাংলা ২৪. কম: নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার বক্তাবলীতে সমন্ধী হাবু মিয়ার ইন্ধনে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে মহিউদ্দিন মেম্বার নিরীহ রাসেলের জমি দখলের পায়তারা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। মহিউদ্দিন নিজেকে এমপি শামীম ওসমানের ঘনিষ্ঠ লোক হিসেবে পরিচয় দিয়ে এলাকায় প্রভাব খাটিয়ে অন্যের জমি দখলের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। নিরীহ রাসেলে প্রতিবাদ করতে গেলে মহিউদ্দিন তার বাহিনীর লোকদের দিয়ে নানা ভাবে হয়রানী করছে। এমনকি রাসেলের কাছ থেকে বরগা নিয়ে সবজি চাষ করা ব্যক্তি জনিকে হত্যার উদ্দেশ্যে বেদম মারধর করে গুরুতর আহত করে।
এদিকে অভিযোগ উঠেছে মহিউদ্দিন একজন সামান্য মেম্বার হয়ে এমপি শামীম ওসমানের নাম ভেঙে নিজেকে চেয়ারম্যান এর ভাব নিয়ে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করার অপচেষ্টা করে। এলাকার কাউকে কোন তোয়াক্কা না করে জবরদখল সহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ড করে বেড়ায়। তারই সুবাধে রাসেলের কেনা সম্পত্তি দখলের উদ্দেশ্যে তার বাহিনী নিয়ে পায়তারা করে বেড়াচ্ছে। মহিউদ্দিন নিজেকে ঐ জমির মালিক হিসেবে দাবি করলেও স্থানীয় সালিশ না মেনে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন লোকের জমি দখলের পায়তারা করছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বক্তাবলী পুলিশ ফাড়ির সামনে রাজাপুর এলাকার আলমাস মোল্লার জায়গা জোরপূর্বক দখল করে মার্কেট নির্মান করে রেখেছে। নিরাহ লোক হওয়ায় আফাজ কন্টাক্টরের ক্ষমতার কাছে জমিতে যেতে পারেনি। আফাজ কন্টাক্টর মারা যাওয়ার পর তারা মনে করেছিল বাবার অন্যায়কে ছেলেরা বুঝতে পেড়ে নিরীহ লোকদের জায়গা বুজিয়ে দিবে। কিন্তু বাবা মারা যাওয়ার পর আরো ভয়ংকর হয়ে উঠে ছেলে মহিউদ্দিন মেম্বার।
বক্তাবলী বাজারস্থ তেলের পাম্পের ব্যবসা করলেও সেই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জমির মালিক আজিজ গংরা হলেও আফাজ কন্টাক্টর জোরপূর্বক দখল করে রেখেছে। কিছু দিন আগে মহিউদ্দিন গংদের সাথে আজিজ গংদের মধ্যে মারামারির ঘটনাও ঘটে। এসব জায়গা জোরপূর্বক দখল করে রেখেছিল মহিউদ্দিনের বাবা জীবিত থাকা অবস্থায়। বাবার মত অন্যের জমি দখল করে নেয়ার আদর্শ পেয়েছে ছেলে মহিউদ্দিন।
আর মহিউদ্দিন মেম্বার যেই বাড়িতে বসবাস করছে সেই জমির কাগজও তাদের নয়। তাদের বসত বাড়ির জায়গা হলো ছোট মধ্যনগরের সাইদ গং এবং বক্তাবলীর চান মিয়ার ছেলে আয়নাল হকের। বসত বাড়ির জায়গাও আফাজ কন্টাক্টর জীবিত থাকা অবস্থায় জোরপূর্বক দখল করে রাখে। এটা বক্তাবলীর সকলেরই জানা রয়েছে।
একই স্টাইলে আফাজ উদ্দিন কন্টাক্টর পূর্ব গোপাল নগরে বক্তাবলীর জয় চান মেম্বারের মালিকাধীন ১০৮ শতাংশ জায়গা দখল করে মার্কেট নির্মান করে রেখেছে। জয় চান মেম্বারের ওয়ারিসরা বিভিন্ন দপ্তরে দৌড়ঝাঁপ করে জায়গা উদ্ধার করতে পারছে না। এভাবে বক্তাবলীর জাহেদ আলীর ছেলে রাসেল শেখের মালিকানাধীন পূর্ব গোপালনগরে ১১৯ শতাংশ জায়গা দখল পায়তারা চালাচ্ছে আফাজ উদ্দিন কন্টাক্টের ছেলে মহিউদ্দিন মেম্বার। সে আরাফ নগর বিয়ে করায় তার শশুর বাড়ির লোকদের ক্ষমতা নিয়ে রাসেল শেখের জায়গা দখল নিতে বিশাল বাহিনী গড়ে তোলে। নিরীহ রাসেল নিরুপায় হয়ে আদালতে মামলাও দায়ের করে। মহিউদ্দিন তার সমন্ধী বিএনপি নেতা হাবু মিয়ার শেল্টার এবং ইন্ধনে ভূমিদস্যুতা করে বেড়াচ্ছে। অন্যের যেসকল জায়গা গুলো মহিউদ্দিনের বাবা দখল করে রেখেছিল সেগুলোর প্রকৃত মালিকরা জমি উদ্ধারের চেষ্টা করলে মহিউদ্দিন তাদের প্রতিহত করতে সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলেছে। রাসেলের মত এমন অনেক নিরীহ লোকজন ভূমিদস্যু মহিউদ্দিন গংদের হাত থেকে জমি রক্ষায় এমপি শামীম ওসমানের সদয় দৃষ্টি কামনা করছেন।