দীগুবাবুর বাজারে চাঁদার দাবিতে কাউন্সিলর শফির ভাতিজা অর্পনের নেতৃত্বে হামলা
প্রতিনিধি, প্রেসবাংলা২৪.কম: নারায়ণগঞ্জ শহরের কিল্লারপুল এলাকার চিহ্নিত মাদক সম্রাজ্ঞী মাহাবুবু আক্তার নুপুরের সহযোগীদের সাথে নিয়ে ১৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শফিউদ্দিন প্রধানের ভাতিজা অর্পন প্রধানের নেতৃত্বে ৪০/৫০ জনের দূর্বৃত্তের দল দীগুবাবুর বাজারের মীর জুমলা সড়কের পাইকারি কাঁচামাল (সবজী) ব্যবসায়ীদের ব্যবসায়ীদের উপর চাঁদার দাবিতে স্বসস্ত্র হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
কাউন্সিলর শফিউদ্দিন প্রধানের ভাতিজা অর্পন প্রধানের নেতৃত্বে হামলায় অংশ নেয় গলাচিপার ঘোরাপাড়ার আবুল কাশেম, গোয়ালপাড়ার বিএনপি নেতা সুন্দর জামাল, নন্দীপাড়ার বিএনপি নেতা মোশাররফ, যুবদল নেতা ইকবাল, সুমন ভান্ডারি ওরফে কানা সুমন, মিশু মিয়া, বিল্লাল, জামান, প্রসেনজিৎ পোদ্দার, উজ্জল সিকদার, মাহফুজ রহমান, শফিকুল ইসলাম নয়ন, আপেল, ইরাম বাবু, নাহিদুল ইসলাম, ১৭ নং ওয়ার্ড এর জল্লারপাড়া এলাকার আবু তাহেরসহ স্বসস্ত্র ৪০/৫০ জন দূর্বৃত্ত্ব। এসময় হামলাকারী সকলের হাতে দেশীয় অস্ত্র ছিল। পরে ঘটনাস্থলে উকিলপাড়াতে টহলরত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে।
শনিবার (৮ এপ্রিল) ভোরে নয়ন সুপার মার্কেট ও নারায়ণগঞ্জ ক্লাব মার্কেট এর সাথে দিগুবাবুর বাজার গলির অংশে ফযর নামাজের পরে এঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হামলাকারীরা দীগুবাবুর বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ীদের উপর চাঁদার দাবিতে স্বসস্ত্র হামলার পাশাপাশি এবলে হুমকি দেয় যারা সংবাদ প্রকাশ করতে সাংবাদিকদের তথ্য দিয়েছে তাদের দেখে নেয়া হবে।
বাজারের ইজারাদার রুবেল (০১৯১৭৩৯৮৩৫৩) জানান, আমি সকালে ছিলামনা। পরে ঘটনা জেনেছি। ঘটনার বর্ননায় তিনি বলেন, কাউন্সিলর শফির ভাতিজাসহ বেশ কিছু লোকজন ছিল, আমি শুনেছি।
সংর্ঘর্ষের ঘটনা কি নিয়ে ঘটেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আধিপত্য বিস্তার ও চাঁদাবাজী নিয়েই ঘটেছে। তবে পরবর্তিকে এ ঘটনা নিয়ে মিমাংশা হয়ে গেছে বলে জানান বাজারের ইজারাদার রুবেল।
হামলার সময় ঘটনাস্থলে যাওয়া নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার এসআই (উপপরিদর্শক) আমিনুল (০১৭১৫৫৩৫৪৩৯) জানান, চাঁদার দাবিতে হয়েছে কিনা জানিনা, তবে দুই গ্রুপের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আমরা গিয়ে উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেই। এবিষয়ে কেউ কোন অভিযোগ বা মামলা দায়ের করেনি।
তবে, ব্যবসায়ীদের অভিযোগ প্রতিদিন সকালে গলাচিপার ঘোরাপাড়ার আবুল কাশেম, গোয়ালপাড়ার বিএনপি নেতা সুন্দর জামাল, নন্দীপাড়ার বিএনপি নেতা মোশাররফ, যুবদল নেতা ইকবাল, সুমন ভান্ডারি ওরফে কানা সুমন, মিশু মিয়া, বিল্লাল, জামান, ১৭ নং ওয়ার্ড এর জল্লারপাড়া এলাকার আবু তাহের নেতৃত্বে শহরের দিগুবাবুর বাজার ও নন্দীপাড়া এলাকায় চলে রমরমা মাদক ব্যবসা। এসকল মাদকব্যবসায়ীরা শুধু মাদক ব্যবসা করেই ক্ষান্ত হয়নি তারা দিগুবাবুর বাজারের ব্যবসায়ীদের নিকট থেকেও নানাভাবে চাঁদাবাজী করে থাকে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগের ভিত্তিতে গত ৭ তারিখ শুক্রবার ও ৮ তারিখ শনিবার বিভিন্ন অনলাইন গণমাধ্যম ও স্থানীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় মাদক ব্যবসায়ী ও চাঁদাবাজরা ক্ষিপ্ত হয়ে এ হামলা চালায়। হামলাকারীরা প্রভাবশালীদের সংশ্লিষ্ট হওয়ায় বাজারের ইজারাদারের মাধ্যমে একটি সালিশ করে মিমাংশা করে। যার দরুন ব্যবসায়ীরা মামলা করতে পারেনি। খুব ভোরে ঘটনা হওয়াতে লোকজন জানাজানিও কম হয়েছে।