পাওনা টাকার দ্বন্দ্বে নারীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ
প্রতিনিধি, প্রেসবাংলা২৪.কম: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে পাওনা টাকার দ্বন্দ্বে এক নারীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার তিনদিন পর শুক্রবার রাতে সোনারগাঁও থানায় তিনজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন ওই নারী। পরে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত লিটন মিয়া ও আসাদুর রহমানকে শনিবার নারায়ণগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়েছে। এদিকে ভুক্তভূগী ওই নারী এখনো সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
অভিযোগে জানা যায়, গত বুধবার (২৯ মার্চ) ওই নারীকে অর্ধচেতন অবস্থায় উপজেলার পূর্ব সনমান্দি চকের একটি ভুট্টাক্ষেত থেকে উদ্ধার করেন ওই এলাকার কয়েক ব্যক্তি। এ সময় তার হাত-পা বাঁধা ছিল।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ভুক্তভূগী নারী জানান, সোনারগাঁ পৌরসভার দুলালপুর নোয়াইল গ্রামের লিটন মিয়ার মালিকানাধীন মার্বেল কারখানায় চাকরি করেন। বেতন ও ধার হিসেবে নেয়া টাকাসহ লিটনের কাছে তিনি মোট ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা পান। এর আগেও শরবতের সঙ্গে নেশাজাতীয় দ্রব্য পান করিয়ে লিটন তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। এসব বিষয়ে তিনি আদালতে লিটনের বিরুদ্ধে মামলাও করেন।
ওই নারী আরো জানান, মামলাসহ নানা বিষয় নিয়ে মঙ্গলবার লিটনের সঙ্গে তর্কাতর্কি হয় তার। একপর্যায়ে তিনি আর চাকরি করবেন না জানিয়ে কারখানা থেকে বেরিয়ে যান। দুপুর ১২টার দিকে মোগরাপাড়া চৌরাস্তা যেতে আদমপুর বাজার থেকে রিকশায় ওঠেন। পথে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের সামনে থেকে অপরিচিত এক নারী তার সঙ্গে সেই রিকশায় ওঠেন। কিছুক্ষণ কথা বলার পর ওই নারী তার মুখের সামনে কিছু একটা ধরলে অচেতন হয়ে পড়েন। পরদিন বুধবার দুপুর ১২টার দিকে বৃষ্টির ঝাপটায় জ্ঞান ফিরে দেখেন, একটি ভুট্টা ক্ষেতের মাঝখানে পড়ে আছেন ওই নারী।
তিনি জানান, শুক্রবার পুলিশ তাকে থানায় ডেকে নিয়ে আরো একটি লিখিত কাগজে স্বাক্ষর নিয়েছেন। সেই কাগজটি মামলার অভিযোগ বলে জানিয়েছেন পুলিশ। সেই অভিযোগটি ধর্ষণ চেষ্টার মামলা হিসেবে নথিভূক্ত করা হয়।
সোনারগাঁও থানার পরিদর্শক তদন্ত মোহাম্মদ আহসান উল্লাহ বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নারীর ধর্ষণ চেষ্টায় মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় দুইজনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।