আওয়ামী লীগ হল রেশমি মিঠাই: মোয়াজ্জেম আলাল

প্রেসবাংলা ২৪. কম: বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন, রাষ্ট্র চিরন্তন বস্তু। সেই রাষ্ট্র এবং সরকারকে আজ আপনারা গুলিয়ে ফেলেছেন। আপনারা খেলার কথা বলেন। আমরা মাঠে খেলতে গিয়ে দেখি প্লেয়ার পুলিশ ডিবি। এত খেলা খেলতে চান। এখন আপনারা ছক্কায় পোক্কা হয়ে গেছেন। লুডু খেলার একটা বৈশিষ্ট্য আছে। ছয় একবার উঠলে আবার মারতে হয়। আওয়ামী লীগ তিন ছয় মেরে ফেলেছে। তিন ছক্কায় তারা পোক্কা হয়ে গেছে। ওবায়দুল কাদের অনেক বড় বড় কথা বলে। আরে আপনার দলের লোকেরাই তো আপনার কথা শোনে না। মাঝে মাঝে মঞ্চ থেকে নেমে যান। আপনার আপন ভাই বলেছে ওবায়দুল কাদেরকে এ মাটিতে পা রাখতে দেব না। আর মাতব্বরি করতে আসবেন না। আপনাদের দিন শেষ। আওয়ামী লীগ হল রেশমি মিঠাই। চাপ দিলে দেখবেন এতটুকু হয়ে যাবে।
বুধবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ১০ দফা দাবিতে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আজকে অনেকে বলেন গণতন্ত্র হত্যা দিবস। আমি বলি এটা রাজতন্ত্র কায়েম দিবস। বাকশালে এক ব্যাক্তির ওপর সব ক্ষমতা দেয়া হয়েছিল। নিজের বানানো দল আওয়ামী লীগকে দাফন করেই তিনি ক্ষ্যান্ত হয়েছিলেন। অযৌক্তিক হলে আওয়ামী লীগের বন্ধুরা চেঁচামেচি করেন এবং গালিগালাজ করেন। এই আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতাও শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। তার অনুমতিতেই মৃত আওয়ামী লীগকে জীবিত করতে পেরেছিল। সেই হিসেবেও তো তিনি সম্মান পেতে পারেন। অতি উৎসাহী হয়ে কেউ আওয়ামী পুলিশ লীগ আওয়ামী ডিবি লীগ হবেন না। দেশের পরিচয়ে নিজেদের পরিচিত করুন।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খানের সভাপতিত্বে ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু’র সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব এড. সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিশেষ অতিথি বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এড. আব্দুস সালাম আজাদ, সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজীর আহমেদ টিটু, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ- সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী মনিরুজ্জামান মনির, প্রধান বক্তা নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন আহমেদ।
এসময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবি, শহিদুল ইসলাম টিটু, মাশুকুল ইসলাম রাজিব, লুৎফর রহমান খোকা, মোশাররফ হোসেন, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এড. সরকার হুমায়ূন কবির, মনির হোসেন খান, আনোয়ার হোসেন আনু, আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি ইউসুফ আলী ভূঁইয়া, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপি’র সাবেক আহ্বায়ক আঃ হাই রাজু, ফতুল্লা থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক রুহুল আমিন শিকদার, রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান হুমায়ূন, সদস্য সচিব বাছির উদ্দিন বাচ্চু, সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী নজরুল ইসলাম টিটু, ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক খন্দকার মনিরুল ইসলাম, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মমতাজ উদ্দিন মন্তু, সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম সজল,কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সদস্য সাদেকুর রহমান সাদেক, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি, সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সহিদুর রহমান স্বপন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ডা. মজিবুর রহমান, বরকত উল্লাহ, সাখাওয়াত ইসলাম রানা, কামরুল হাসান চুন্নু সাউদ, শাহিন আহমেদ, মাহমুদুর রহমান, মাসুদ রানা, হাবিবুর রহমান দুলাল, মাকিত মোস্তাকিম শিপলু, ফারুক হোসেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আনোয়ার সাদাত সায়েম, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক শাহ আলম ভূঁইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক সালাউদ্দিন সালু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন,জেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাসেল রানা, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত ইসলাম রানা, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মমিনুর রহমান বাবু, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মন্টু মেম্বার, আড়াইহাজার উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব খোরশেদ আলম ভুঁইয়া, মহানগর শ্রমিক দলের আহ্বায়ক এস এম আসলাম, মহানগর মহিলা দলের সভানেত্রী দিলারা মাসুদ ময়না, জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী রহিমা শরীফ মায়া, সাধারণ সম্পাদক রুমা আক্তারসহ জেলা ও মহানগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।