ছাত্রলীগ নেতা আরিফুলকে ছুরিকাঘাতে আহত: মুসলিমনগরে ছাত্রলীগ নেতা প্রিন্স মেহেদীর বিরুদ্ধে মামলা
প্রেসবাংলা ২৪. কম: ফতুল্লার মুসলিমনগরে ছাত্রলীগ নেতা আরিফুলকে হত্যার উদ্দেশ্য ছুরিকাঘাত করেছে আরেক ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাসান প্রিন্স। এ ঘটনায় প্রিন্সের বিরুদ্ধে মামলা ধায়ের করেছেন আহত আরিফুলের বাবা আলী আহমেদ।
এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক উপ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক মেহেদী হাসান প্রিন্স। যিনি তোলারাম কলেজের ভিপি হাবিবুর রহমান রিয়াদের নাম ভাঙ্গিয়ে এলাকাতে নানা অর্পকর্ম করে থাকেন।
শুক্রবার (১৫জুলাই) রাতে ছাত্রলীগ নেতা আরিফুলের বাবা আলী আহম্মেদ বাদী হয়ে প্রিন্স মেহেদীকে প্রধান করে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৫/৬ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়। মামলার অন্য আসামীরা হলে ফয়সাল, আকাশ, মিলন, শাওন, রাজু।
মামলায় উলেখ্য করা হয়, প্রিন্স মেহেদী নারায়ণগঞ্জ সরকারী তোলারাম কলেজের ভিপি রিয়াদ এর সাথে সু-সম্পর্ক হওয়ার সুবাধে তোলারাম কলেজে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করিয়ে দেয়ার ক্ষমতা রাখে বলে প্রচার করে। আর সেই সুবাধে আরিফুল তার কিছু বন্ধুদের বিবিএ ২য় বর্ষে কলেজে ভর্তি করার জন্য প্রিন্স মেহেদীকে বলে। পরে প্রিন্স ভর্তি করানো কথা বলে এক লাখ টাকা নেয়। ভর্তির সময় অতিবাহিত হতে চললেও ভর্তি করাতে ব্যর্থ হওয়ায় প্রিন্স মেহেদীর কাছে দেয়া এক লাখ টাকা ফেরৎ চায় আরিফুল। টাকা ফেরৎ না দিয়ে আরিফুলকে উল্টো হুমকি দেয় মেহেদী। এই নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। গত ৬ জুলাই রাতে মুসলিমনগর আদর্শপাড়ায় আরিফুল প্রিন্স মেহেদীকে রাস্তায় পেয়ে টাকা চাইতে গেলে তাদের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় প্রিন্স মেহেদী সহ তার বাহিনীর লোকজন ধাড়ালো ছোড়া দিয়ে আরিফুলের পেটে আঘাত করে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। পরে স্থানীয় লোকজন আরিফুলকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করে। ঘটনার পর আরিফুলের বাবা আলী আহম্মেদ বাদী ছাত্রলীগ নেতা প্রিন্স মেহেদীকে প্রধান আসামী করে মামলা দায়ের করে।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম মামলা দায়েরের বিষয় নিশ্চিত করে জানান, আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রিন্সের সঙ্গে একাধীকবার যোগাযোগের চেষ্ঠা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।