দুই বন্ধু এক মেয়েকে পছন্দ নিয়ে বিরোধ, নেশা খাইয়ে হত্যা
প্রেসবাংলা ২৪. কম: নাহিদ ও আপন নামের দুই বন্ধু পছন্দ করতো স্থাণীয় এক মেয়েকে। যা নিয়ে তাদের মধ্য মনোমালিন্যের সৃস্টি হয়। এ সুযোগে অপর বন্ধুর সহযোগীতায় আমির নামের এক অটো চালককে খুবন করে তারই বন্ধুরা। এবং তারই চালিক অটো রিক্সা আছে সেটিও ছিনতাই করে বিক্রি করার জন্য চোরাই চক্রের সন্ধানও করে।
বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে, চর সৈয়দপুর এলাকায় অটো চালক আপন (১৭) হত্যাকান্ডের ওই বর্ণণা দেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (‘ক’ সার্কেল) নাজমুল হাসান।।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সৈয়দপুর, ফকিরবাড়ী এলাকার মাহমুদ হোসেন ওরফে গেদা’র ছেলে নাহিদ (২২) ও একই এলাকার মো. ফালান মিয়ার ছেলে মো. আমির হোসেন ওরফে আমিন (২৩)। এ সময় ২নং আসামীর কাছ থেকে অটো বিক্রয়ের ৭ হাজার ৬শ’ টাকা ও ১নং আসামীর কাছ থেকে ৪হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
এডি. এসপি নাজমুল হাসান জানান, সোমবার ২৫ এপ্রিল রাত সোয়া ১০টায় পরিকল্পিত ভাবে সৈয়দপুর কাঠপট্টি এলাকার রেইনবো ড্রাইং এর পেছনে নিয়ে যায়, আগে থেকে নেশা জাতীয় দ্রব্য নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন অপর বন্ধু আমির হোসন। পরে নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবন করে নাহিদ ও আমির আপনকে ঝাপটিয়ে ধরে গলা চেপে রশি দিয়া শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে আপনকে হত্যা করে তার অটোগাড়ী ছিনতাই করে। পূর্বের চুক্তি অনুযায়ী চোরাই চক্রের বিদ্যাল, ইসমাইল এবং সাইদুলের কাছে ২৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে।
পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, এ ঘটনায় তাৎক্ষণি পুলিশ সুপার মহোদয়ের দিক-নির্দেশনায় আমার নেতৃত্বে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শাহজ্জামান, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আজিজুল হক হাওলাদারসহ একটি চৌকস পুলিশ সদস্যগণ মামলা রহস্য উদঘাটন করা হয়। মাত্র ৪৮ ঘন্টার মধ্যে স্থানীয় সোর্স ও তথ্য প্রযুক্তর সহায়তায় মামলার রহস্য উদঘাটন ও হত্যাকান্ড ও অটো ছিনতাই জড়িত মূল অপরাধীসহ অন্যান্য সহযোগীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।