আড়াইহাজারে ড্রেজার ও স্পিডবোডে আগুন ধরিয়ে দিল গ্রামবাসী

আড়াইহাজার প্রতিনিধি, প্রেসবাংলা২৪ডটকম: আড়াইহাজারে অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের সময় গ্রামবাসী ধাওয়া দিয়ে ৩টি ড্রেজার ও ২টি স্পিডবোডে হামলা চালিয়ে ও আগুন ধরিয়ে দিয়েছে । তার মধ্যে ৩টি ড্রেজার ও ১টি স্পিডবোড মেঘনা নদীতে ডুবিয়ে দেয় এবং অন্য বোডটি পাড়ে নিয়ে ভেঙ্গে ফেলেছে ক্ষুব্দ জনতা।
ড্রেজারের মালিক মেঘনা থানাধিন চালিভাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আঃ লতিফ সরকার।
শনিবার (১৮ জুলাই) ভোরে উপজেলার কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের ডেঙ্গুরকান্দি এলাকায় মেঘনা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
কালাপাহাড়িয়া এলাকায় জয়নাল জানান, একদিকে বর্ষা মৌসুম ও অন্যদিকে নদী ভাঙ্গনের মুখে স্থানীয় লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। তার মধ্যে অন্য জেলার এক চেয়ারম্যান তার বিপুল সংখ্যক লোকজন নিয়ে বেশ কয়েকটি ড্রেজারের সাহায্যে কয়েক সপ্তাহ যাবত ডেঙ্গুরকান্দীতে এসে বালু উত্তোলন করতে থাকে। এতে করে কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের ডেঙ্গুরকান্দী গ্রামটি নদী ভাঙ্গনের হুমকীর মধ্যে রয়েছে।
কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাত্তার জানান, মেঘনা থানার চালিভাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আঃ লতিফ চেয়ারম্যান অবৈধভাবে আড়াইহাজার উপজেলার কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের ডেঙ্গুরকান্দী এলাকায় এসে মেঘনা নদী ও ডেঙ্গুরকান্দী চরে ৫/৬টি ড্রেজার বসিয়ে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করতে থাকে। এলাকাবাসী নদী ভাঙ্গনের মুখে পড়বে এ আশংকায় তাদের এ এলাকা ছেড়ে তাদের উপজেলায় সরে যাওয়ার জন্য বেশ কয়েকদিন যাবত বাধা দিয়ে আসলেও ঐ চেয়ারম্যান কোন কর্ণপাত করেনি। শনিবার ভোরে এলাকার লোকজন অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দেন বলে তিনি জানান।
সাত্তার অভিযোগ করে জানান, তাদের এলাকার রহিম ও জাকিরের ২টি বালুবাহী বলগেট মহিষারচর এলাকায় বালু নিয়ে যাওয়ার সময় শনিবার সকালে আঃ লতিফ চেয়ারম্যান ও তার লোকজন বলগেট ২টি আটক করে রাখে। বলগেটে থাকা ৯জন শ্রমিক এখনো নিখোজ রয়েছে বলেও তিনি জানান।
তবে আঃ লতিফ চেয়ারম্যানের ০১৭১০৩৩১৫১৫ মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এ ব্যাপারে আড়াইহাজার থানার ওসি নজরুল ইসলাম জানান, ড্রেজারে হামলার ঘটনা শুনেছি, তবে থানায় কেউ অভিযোগ দেননি বলে জানান।