বন্দরে সাংবাদিকের ওপর সন্ত্রাসী হামলা

বন্দর প্রতিনিধি, প্রেসবাংলা২৪ডটকম: বন্দরে সিএনএ বাংলা টিভির প্রতিবেদক আলমগীর ভূঁইয়ার ওপর হামলা চালিয়েছে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা। এসময় প্রাইভেটকার চালক রাসেল সন্ত্রাসীদের বাঁধা দেওয়ায় তাকেও পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে সন্ত্রাসীরা।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার বাগদোবাড়িয়া এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা নগদ ৫০ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল সেট ছিনিয়ে নিয়ে যায়। ওই রাতে পুলিশ সন্ত্রাসীদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ছিনিয়ে নেওয়া মোবাইল সেট উদ্ধার করে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, উপজেলা ধামগড় ইউপির শ্রীরাম গ্রামের মৃত সহিদউল্লাহ ভূঁইয়ার ছেলে সাংবাদিক আলমগীর ভূঁইয়ার কালো রংয়ের প্রাইভেটকার মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে কেওঢালা- অলিপুরা সড়কের বাগদোবাড়িয়া ব্রিজের সামনে পৌঁছায়। এসময় বাগদোবাড়িয়া গ্রামের সৈদুর রহমান বুইট্রার ছেলে সুজন (২৪) মমি (৩৫) মোশারফ মিয়ার ছেলে বাবু (২০) পকুনিয়াবাড়ি গ্রামের আসান মিয়ার ছেলে রিপনসহ আরো অজ্ঞাতনামা ৩-৪জন প্রাইভেটকারটি গতিরোধ করে প্রাইভেটকার ভাংচুর করে সাংবাদিক আলমগীরের চাচাতো ভাই মামুন ভূঁইয়ার কাছ থেকে নগদ ৫০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ খবর পেয়ে আলমগীর ভূঁইয়া ঘটনাস্থলে ছুটে আসামাত্র ওই সন্ত্রাসীরা তার ওপর হামলা চালিয়ে তার ব্যবহৃত একটি মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে যায়। প্রাইভেটকার চালক রাসেল আলমগীর ভুইয়াকে বাঁচাতে সন্ত্রাসীদের বাঁধা দেওয়ায় তাকেও পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
সাংবাদিক আলমগীর ভূঁইয়া জানান, চাচাতো ভাই মামুন ভূঁইয়াকে চালক রাসেলকে দিয়ে মঙ্গলবার বিকালে ব্যবসায়িক কাজে মেঘনা জামালদী পাঠানো হয়েছে। তাগাদার কাজ শেষে রাতে ফেরার পথে বাগদোবাড়িয়া ব্রিজের সামনে পৌঁছালে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে সন্ত্রাসী, ছিনতাইকারি চক্রের সদস্য সুজন মমি মোশারফ মিয়ার ছেলে বাবু, রিপনসহ আরো অজ্ঞাতনামা ৩-৪জন প্রাইভেটকারটি গতিরোধ করে প্রাইভেটকার ভাংচুর করে। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যাওয়া মাত্র কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমার ওপর হামলা চালায় তারা। এসময় আমার মোবাইল সেট ও আমার চাচাতো ভাইয়ের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।
বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, হামলার ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। রাতেই সন্ত্রাসীদের বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে লুন্ঠিত মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়েছে। সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।