রূপগঞ্জে মুকুল ঝড়ে আমশুন্য গাছ!
রূপগঞ্জ প্রতিনিধি, প্রেসবাংলা২৪ডটকম: রূপগঞ্জে আমের ফলন চোখে পড়েনি। বসন্তের শুরুতে গাছে গাছে ব্যাপক মুকুল দেখা দিলেও চৈত্রের শেষের দিকে ওই মুকুল গাছে টেকেনি। ফলে বৈশাখৈ প্রায় গাছেই আমশুন্য দেখা যাচ্ছে। এতে আমের ফলন সংকটে রয়েছেন স্থানীয়রা। প্রতিবছর যেখানে লাখের অধিক মন আমের ফলন হয় এ বছর সেখানে আম নেই বললেই চলে। তবে দু’একটি স্থানে স্বল্প সংখ্যক হাইব্রিড বা উন্নত জাতের আম দেখা গেছে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বসন্তের শুরুতে আশানুরুপ আমের মুকুল দেখা দিয়েছিলো। তারপর সে মুকুল হপার নামক পোকার আক্রমনে কিংবা অদৃশ্য কারনে ঝড়ে যায়। এ বছর ঝড় তুফান কম হলেও অজানা কারনে এমন মুকুল ঝড়ে যাওয়াতে বৈশাখে এসে আম শুন্য গাছ দেখা যাচ্ছে। তাই এ বছর নিজ গাছের আম খেতে পারবেন না বলে জানান তারা। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নের মধুখালী, পিতলগঞ্জ, গুতিয়াবো, জাঙ্গীর, হারিন্দা, সুরিয়াবো, কাঞ্চনের বিরাবো, ভোলাবোর আতলাপুর, দাউদপুরের কালনী, হিড়নাল, ভুলতার মাঝিপাড়া, গোলাকান্দাইলের সাওঘাট কোথাও দেখা মেলেনি আমের ফলনের। প্রায় গাছই আম শুন্য দেখা গেছে। তবে দুএক স্থানে কিছু ফলন দেখা দিলেও তা আগের তুলনায় অনেক কম।
মধুখালী এলাকার বাসিন্দা জিন্নাত আলী বলেন, বর্তমান কভিড ১৯ মহামারী সময়ে চিকিৎসকগন ভিটামিন সিসহ ফল খেতে বলছেন, কিন্তু এবার আমের ফলন নেই। তাতে লকডাউনে আটকে পড়া গ্রামের মানুষদেরও এ সুস্বাদু ফল থেকে বঞ্চিত হবে।
পিতলগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা জুলহাস মিয়া বলেন, আমাদের কোন গাছেই এবার আমের ফলন হয়নি। কৃষি বিভাগ থেকে কোন সহায়তাও পাইনি।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম বলেন, গ্রামের আমগাছগুলোকে অনেকটা প্রাকৃতিক বেড়ে উঠতে দেন সাধারনরা। মুকুল আসার পূর্বে থেকেই পরিচর্যার প্রয়োজন হয়, এটা সাধারনত অনেকেই প্রয়োগ করে না। তাছাড়া মুকুল এলে সাধারনত হপার নামক একটি পোকা আক্রমন করে থাকে। তারা ফুলের মধুসহ গুটি খেয়ে ফেলে। তাই মুকুল এলে বা গুটি ধরলে কিটনাশক প্রয়োগ করতে হয়। হয়তো তারা সময়মতো তা করেনি। তবে কৃষকদের এ বিষয়ে সচেতন করার কর্মসূচী নেয়া হবে।