না’গঞ্জ ছেড়ে যাওয়া বহিরাগতদের আটকাতে হবে

প্রতিবেদক, প্রেসবাংলা২৪ডটকম: দিন দিন দেশের করোনা পরিস্থিতি অবনতি হচ্ছে। বাড়ছে নিহত ও আক্রান্তের সংখ্যা। দিন যতোই গড়াচ্ছে করোনা ভাইরাস আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে। আর এই পরিস্থিতিতে ঘুরে ফিরে বারবার আসছে নারায়ণগঞ্জের নাম। ঢাকা ছাড়া বেশ কয়েকটি জেলায় করোনা ছড়িয়ে পড়ার বিষয়ে নারায়ণগঞ্জকে অভিযুক্ত খোদ স্বাস্থ্য বিভাগ।
কারণ হিসেবে তারা বলছেন, এ জেলায় দেশের ৬৩টি জেলার লোকজন এসে অস্থায়ী আবাস গড়েছে। কর্ম ও জীবিকার তাগিদে এ জেলায় বসবাস করলেও করোনাকালে পাওয়া লম্বা ছুটিতে এ জেলা ছাড়তে শুরু করে। যাদের মধ্যে বেশির ভাগই শ্রমিক। পরিস্থিতি খারাপ হবার পরে এ জেলা ছেড়ে অন্যত্র যাবার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলেও তারা মানেননি। রাতের আঁধারে তারা ঘরমুখো হন। ফলে করোনা বিস্তার লাভ করে বলে স্বাস্থ্য বিভাগের দাবি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নরসিংদী, ফরিদপুর সহ আরও কয়েকটি জেলা আক্রান্ত হবার পরে দেশের অন্যজেলাগুলোতেও নারায়ণগঞ্জ ভীতি সৃষ্টি হয়।
এদিকে নারায়ণগঞ্জের স্থানীয়দের দাবি, এ জেলায় বসবাসরত অন্য জেলার লোকজন অসময়ে নারায়ণগঞ্জ ছেড়ে যাওয়ায় অহেতুক এ জেলার নাম খারাপ হয়েছে। এ জেলার স্থায়ী বাসিন্দা কেউ জেলা ছেড়ে যায়নি। তাছাড়া বাংলাদেশে প্রথম যে দুজন করোনা রোগী সনাক্ত হয় তারাও এ জেলার নন। কিন্তু দেশব্যাপী এ জেলার বদনাম ছড়াচ্ছে। তাদের দাবি, সময়মতো প্রশাসন ও শ্রমিক নেতারা যদি যথাযথ ভূমিকা নিয়ে মাঠে থাকতেন তবে এ পরিস্থিতি তৈরি হতো না। কিন্তু সঙ্কটকালে কোন শ্রমিক নেতাকে মাঠে দেখা যায়নি।
চিকিৎসকদের দাবি, করোনার সামাজিক সংক্রমণের সময়ে অনেকেই নারায়ণগঞ্জ ছেড়েছেন, যা পরিস্থিতি নাজুক করে তুলেছে। কয়েকজন শিল্প কারখানার মালিক অভিযোগ করেন, নানা সময় শ্রমিক নেতারা মাঠ গরম করলেও এসময় শ্রমিকদের সচেতন করতে তাদের দেখা যায়নি।
১১এপ্রিলের আইইডিসিআরের তথ্য মোতাবেক পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে দেশে মারা যাওয়া ২৭ জনের মধ্যে ৯ জন নারায়ণগঞ্জের। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের ৩৮ শতাংশ নারায়ণগঞ্জের।