চেয়ারম্যান-মেম্বার নয়: সেনাবাহিনী দিয়ে সরকারী বরাদ্দ বিতরণ চায় মানুষ

মোঃ ওয়ারদে রহমান, প্রেসবাংলা২৪ডটকম: বিশ্বজুড়ে ভয়াবহ আকারে আঘাত করেছে ভয়ংকর করোনা ভাইরাস। এই ভাইরাসের আঘাতে অনেক উন্নত দেশ ইতোমধ্যে কাবু হয়ে গেছে। বাংলাদেশে করোনার প্রভাবে কার্যতঃ পুরো দেশ লকডাউন রয়েছে। এতে শ্রমজীবি মানুষগুলো চরম অর্থকষ্টের সম্মুখীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

গত কয়েকদিন ধরে শ্রমজীবি মানুষ অর্থাভাবে খেয়ে না খেয়ে থাকার খবর আসছে। সরকারি ঘোষণা মতে আগামী ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত এই অবস্থা বলবৎ থাকবে। এই পরিস্থিতিতে নিম্ন আয় ও শ্রমজীবি মানুষের সাহায্য প্রণোদনা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সচেতন মহল বলছেন, বাংলাদেশের একটি বিশাল সংখ্যক জনগোষ্ঠী দিনমজুর শ্রমজীবি। তাই প্রধানমন্ত্রী যে প্রণোদনা ঘোষণা করেছেন তা যথেষ্ট হবে না। তারপরও যে পরিমাণ বরাদ্দ দিয়েছে তার সঠিক বন্টন হওয়া খুবই দরকার।

সঠিক বন্টনের জন্য সঠিক কর্তৃপক্ষকে দায়িত্ব দেয়ার তাগিদ দিয়েছেন সচেতন মহল। এদিকে সাধারণ লোকজন বলছেন, বাংলাদেশে জনগণের জন্য দেয়া সব সরকারি বরাদ্দ পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃপক্ষকে দিয়ে বিতরণ করা হয়। স্বাভাবিকভাবে অভিযোগ রয়েছে, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃপক্ষ সরকারি কোনো বরাদ্দ সঠিক ও ন্যায়ভাবে বিতরণ করে না। কাউন্সিলর, চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা এসব বরাদ্দ বিতরণে ব্যাপক অনিয়মের আশ্রয় নেয়। বিষয়টি বর্তমানে স্বাভাবিক পর্যায়ে চলে গেছে। এই অনিয়মকে অসহায় জনগণ স্বাভাবিক হিসেবে মেনে নিতে বাধ্য হয়। বর্তমান ভয়াবহ করোনার এই কঠিন পরিস্থিতিতে এমন অনিয়ম চায় না ভুক্তভোগীরা।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও চান নিন্ম আয়ের গরীব মানুষের জন্য যে প্রণোদনা বরাদ্দ দিয়েছেন, তা যেন যথাযথভাবে অসহায় ভুক্তভোগীরা পায়। সে জন্য তারা কাউন্সিলর, চেয়ারম্যান ও মেম্বার নয়; সেনাবাহিনী অথবা নৌ-বাহিনীর মাধ্যমে বিতরণ চায়। কেননা সেনা ও নৌবাহিনী বিতর্কমুক্ত মানবদরদী সরকারী বাহিনী। দেশের যেকোনে জরুরী মুহুর্তে তারা জনগণের পাশে দাঁড়ায়। বর্তমানেও করোনা রোধে মানুষকে ঘরে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে এই দুই বাহিনী। কক্সবাজারের পাঁচ উপজেলায় সেনাবাহিনী এবং তিন উপজেলায় নৌবাহিনী দায়িত্ব পালন করছেন। এই প্রেক্ষাপটে তাদের মাধ্যমেই প্রধানমন্ত্রীর দেয়া বরাদ্দ বিতরণ করা অতিব জরুরী। এই দুই বাহিনী বিতরণ করলেই বরাদ্দ সঠিকভাবে কাছে না যাওয়া অসহায় জনগণের ঘরে পৌঁছাবে।

ভুক্তভোগীরা দাবি করছেন, কাউন্সিলর, চেয়ারম্যান বা মেম্বারদের হাতে প্রধানমন্ত্রীর বরাদ্দগুলো বিতরণের জন্য দিলে তার অর্ধেক প্রকৃত উপকারভোগীরা পাবেন না৷ কাউন্সিলর, চেয়ারম্যান এবং মেম্বাররা নিজেরা অর্ধেক লোপাট করে ফেলবে। আবার যা বিতরণ করবে তাতেও দেখা যাবে তাদের স্বচ্ছল আত্মীয় ও অনুসারীদের ঘরে যাবে অসহায়দের দেয়া জরুরী বরাদ্দ। এই মহাক্রান্তি সময়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন মহল পরিদর্শন করে এবং সাধারণ জনগণের জিজ্ঞাসাবাদে যে আশান্বিত বা সাধারণ জনগণের চাওয়া পাওয়া সরকারের কাছে তা একান্তভাবে কাম্য৷ দেশনেত্রী শেখ হাসিনা যে বরাদ্দ দিবেন তা যেন, সেনাবাহিনী বা নৌ বাহিনীর মাধ্যমে তা বিতরণ করা হয়। কেননা এই বর্তমান পরিস্থিতিতে চেয়ারম্যান, মেম্বার, কাউন্সিলদের প্রতি অনিহা প্রকাশ করেছে দিনমজুর থেকে সাধারণ জনগণ।

প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছেন এই বিতরণ যেন সুষম বন্টন হয়।

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com