শরিফ হত্যা: ইসমাইল সহ ৯ জন আসামি গ্রেফতার

নগর প্রতিনিধি, প্রেসবাংলা২৪ডটকম: নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার দেওভোগ আদর্শনগর এলাকায় ব্যবসায়ী শরীফকে কুপিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে হত্যার ঘটনায় এজাহারনামীয় আসামি ইসমাইল হোসেনসহ নয়জনকে গ্রেফতার করেছে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ।
শুক্রবার (৩ এপ্রিল) রাতে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেন।
ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন এর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শনিবার দুপুরে আটক সবাইকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলো-পশ্চিম দেওভোগ রঙ্গিলা রোড এলাকার নূর মসজিদ সংলগ্ন শাজাহান মিয়ার ছেলে ইসমাইল (২০), একই এলাকার ইসমাইল হোসেনের বাড়াটিয়া শাজাহানের ছেলে রাসেল (২০), মুন্নার বাড়ির নিচতলার ভাড়াটিয়া নুর ইসলামের ছেলে ওসমান ওরফে জীবন (১৯), বাড়ৈভোগ মসজিদ সংলগ্ন সূর্য বেগমের ভাড়াটিয়া আতাউরের ছেলে সোহাগ (২০), দেওভোগ নূর মসজিদ সংলগ্ন আব্দুস সাত্তারের ছেলে রকি (১৮), একই এলাকার জালাল মোল্লার ভাড়াটিয়া খলিল মিয়ার ছেলে রাসেল (১৯), বাহ উদ্দিন মিয়ার ভাড়াটিয়া মুকুল মন্ডলের ছেলে মেহেদী হাসান (২২), ৬২ নং আদর্শনগর এলাকার শাহাবুদ্দিনের ছেলে মিলন হোসেন (২৮) ও ময়না কমিশনারের ভাড়াটিয়া তারা মিয়ার ছেলে কমল মিয়া (১৮)।
প্রসঙ্গত গত ১ এপ্রিল সকাল ১০ টারদিকে নিজ বাড়ির সামনে দকান খোলা রাখা নিয়ে শরিফকে কুপিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়। সে ওই এলাকায় আলাল মাতবরের ছেলে। বৃষ্টি ইলেকট্রনিক্স ও ফার্নিচার নামে বাড়ির সামনে তার একটি দোকান ছিল। এ ঘটনায় নিহতের পিতা বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার (তদন্ত) পরিদর্শক শাহাদাত হোসেন বলেন, এজাহারনামীয় ইসমাইল হোসেনকে প্রথমে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়াও ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধারকৃত সিসি টিভির ফুটেজ পর্যালোচনা করে হত্যায় জড়িত থাকা আরো ৮ জন সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আটককৃতরা হত্যায় নিজেদের সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেছে। একই সঙ্গে আরো কারা কারা জড়িত রয়েছে সেসব নামও বলেছে। তদন্তের স্বার্থে সেসব নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না। এজাহার নামীয় অন্যান্য আসামীসহ স্বীকারোক্তিতে পাওয়া হত্যায় জড়িতদের আটকে অভিযান চলছে। শিগগিরই তাদের আটক করা সম্ভব হবে।