সোনারগাঁয় লাশ নিয়ে রতন গংয়ের নোংরা খেলা!

সোনারগাঁ প্রতিনিধি, প্রেসবাংলা২৪ডটকম: সোনারগাঁয় ডেঙ্গুতে মারা যাওয়া এক যুবকের লাশ নিয়ে নোংরা খেলায় মেতে উঠেছে একটি কুচক্র। উপজেলার লেদামদি গ্রামের মাহবুব নামের নিহত ওই যুবকের মৃত্যুকে হত্যা দাবি করে চক্রটি এলাকার নিরীহ মানুষকে হত্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেবার ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায়ের ফন্দিতে নেমেছে।

 

মাহবুব (৩১) লেদামদি গ্রামের শাহজাদা মিয়ার পুত্র। গত ২৩ আগস্ট রাজধানীর যাত্রাবাড়ির ডেল্টা হেলথ কেয়ার নামের একটি হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।

 

স্থানীয়দের অভিযোগ, গত জাতীয় নির্বাচনের সময় এলাকার রাজনৈতিক দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র হামলার ঘটনায় মাহবুব সহ আরো কয়েকজন আহত হয়। প্রতিপক্ষের হামলায় মাহবুবের পা জখম হয়। ওই সময় পাশ^বর্তী টেমদি গ্রামের রুবেল মিয়া, দেলোয়ার হোসেন, আমির হোসেন, মোমেন মিয়া, কবির হোসেন সহ অজ্ঞাত আরো ১০/১২ জনের নামে আদালতে মামলা হয়। পরবর্তীতে রাজনৈতিক ঘটনা সম্পৃক্ত থাকায় মামলাটিতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশে হস্তান্তর হয়।

 

কিন্তু গত ২৩ আগস্ট মাববুরের মৃত্যুর পরে ওই এলাকার বিএনপির সন্ত্রাসী আবুল হাশেম রতন সহ আরো কয়েকজন মাহবুবের লাশ নিয়ে নোংরা খেলা শুরু করেছে। চক্রটি এলাকায় তাদের প্রতিপক্ষ ও নিরীহদের ফাঁসাতে নানা ফন্দি-ফিকির শুরু করেছে। ২৩ আগস্ট রাজধানীর ডেল্টা হাসপাতালে আবুল হাশেম রতনের উপস্থিতিতেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত মাহবুবকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। হাসাপাতলের ডাক্তারকে তিনি আহত হয়ে মৃত্যুর কারণ দেখিয়ে সনদ দিতে তদবীর করেন। কিন্তু সেখানে সুবিধা করতে না পেরে লাশ নিয়েই আবার ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেন।
এরই মধ্যে রতন গং এলাকায় আতঙ্ক ছড়াতে শুরু করে।

 

এদিকে মাহবুবের ডেঙ্গুতে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডেল্টা হেলথ কেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা: জুয়েল চৌধুরী। তিনি বলেন, হাসপাতালে আসার আগেই রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। এ ধরণের ডেঙ্গু রোগীর বাচার সম্ভাবনা কম। তিনি আরও জানান, নিহতের স্বজনদের ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মাহবুবের মৃত্যু সনদও দেয়া হয়েছে।

 

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক এস এম শরীফুল ইসলাম জানান, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। মাহবুবের ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে-এমন তথ্য সাংবাদিকদের কাছে আছে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমি এ ধরণের কাগজ পাইনি।

 

সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান জানান, কোন নিরপারাধীকে হয়রানির কোন সুযোগ নেই। কোন অসাধু চক্রের ষড়যন্ত্রে পা দিবে না পুলিশ।

 

তবে এ বিষয়ে অভিযুক্ত চক্রের প্রধান আবুল হাশেম রতনের মোবাইলে বেশ কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

 

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com