জাকির খানের মুক্তির আনন্দে সুজনের মিষ্টি বিতরণ

প্রেসবাংলা ২৪. কম: নারায়ণগঞ্জের আলোচিত ব্যবসায়ী সাব্বির আলম খন্দকার হত্যা মামলায় জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খানসহ সকল অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। আদালত পাড়ায় মিষ্টি বিতরণ করলেন মহানগর বিএনপির সদস্য সুজন মাহমুদসহ আইনজীবী ও নেতৃবৃন্দরা।
মঙ্গলবার ( ৭ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মমিনুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।
এ মামলায় আসামি ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খান। তিনিসহ খালাস পাওয়া অন্য আসামিরা হলেন জাকির খানের দুই ছোট ভাই জিকু খান ও মামুন খান, তাঁর সহযোগী জঙ্গল ওরফে লিটন, মোক্তার হোসেন, মনিরুজ্জামান শাহীন, নাজির আহমেদ ও আবদুল আজিজ। তাঁদের মধ্যে মনিরুজ্জামান শাহীন মারা গেছেন।
সাবেক ছাত্রনেতা জাকির খানের ষড়যন্ত্র মিথ্যা মামলা বেকসুর খালাস পূর্বে নেতৃবৃন্দদের নিয়ে সকালবেলায় আদালত পাড়ায় উপস্থিত হন জেলা ট্রাক, ট্যাংকলরী ও কাভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন যুগ্ম আহ্বায়ক সুজন মাহমুদ।
নারায়ণগঞ্জ জেলা ট্রাক, ট্যাংকলরী ও কাভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন যুগ্ম আহ্বায়ক ও মহানগর বিএনপির সদস্য সুজন মাহমুদ বলেন, সাব্বির আলম খন্দকার হত্যা মামলার বাদী তার ভাই তৈয়মুর আলম খন্দকার। আপনারা জানেন রাজনৈতিকভাবে উনি একজন পল্টিবাজ। উনি স্বনামধন্য রাজনৈতিক দল বিএনপির সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে বিএনপির দুঃসময়ে গাদ্দারী করেছে তিনি। তার ধারাবাহিকতায় ততকালীন যারা আওয়ামী লীগের লোকজন ছিল তাদের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী জাকির খানের জনপ্রিয়তা নস্যাৎ করার জন্য ষড়যন্ত মূলক মিথ্যা মামলা দিয়েছে। সেটার আজ প্রমাণ হলো নির্দোষ ছিল জাকির খান।
তিনি আরোও বলেন, আমাদের শ্রমিক নেতা শামীমের বিরুদ্ধে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র হত্যা মামলা দিয়েছে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু। আগামীকাল সেই মামলার শামীমকে হাজিরা করাহবে। শ্রমিকরা কখনই এ কাজ করতে পারেনা। যারা আওয়ামীলীগের দালাল, যারা আওয়ামীলীগের সাথে লিয়াজু মেন্টেন করে চলছে। তা নারায়ণগঞ্জবাসীও জানেন এবং তা জমুনা টিভিসহ প্রকাশ পাইছে। এ মামলার যে বাদী সেও বলেছে কারা এ মামলা করিয়েছে। বাদীর রেকডিংও আমাদের কাছে রয়েছে। যা প্রশাসন ও বাদী নিজেই এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু নাম বলেছে। আমরা বিএনপির দুষ্কৃতিকারী, অনুপ্রবেশকারী বিএনপি’র দুঃসময় দলে ছিল না তাদেরকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবি জানাচ্ছি।