জাকির খানের মুক্তি দাবিতে মিছিল-সমাবেশ

প্রেসবাংলা ২৪. কম:  আলোচিত ব্যবসায়ী সাব্বির আলম খন্দকার হত্যা মামলার আসামী নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খানের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে জাকির খান অসুস্থ থাকায় এবারও তাকে আদালতে আনা হয়নি। তাই অনুপস্থিতেই চলে সাক্ষ্যগ্রহণ।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (প্রথম আদালত) উম্মে সারবান তাহুরার আদালতে এ সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এদিন মামলার ১৩ নাম্বার সাক্ষী তাজুল ইসলাম ও ১৪ নাম্বার সাক্ষী জামাল হোসেন আদালতে তাদের সাক্ষ্য প্রদান করেন।
এ বিষয়ে আসামী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রাজীব মন্ডল বলেন, আজ আদালতে দুইজন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। তারা হলেন, জব্দ তালিকার ১৩ নাম্বার সাক্ষী তাজুল ইসলাম ও ১৪ নাম্বার সাক্ষী জামাল হোসেন। তারা আদালতকে বলেছেন, পুলিশ এ হত্যার আলামত সংগ্রহকালে তারা কেউ উপস্থিত ছিলেন না। তারা কিছু দেখেনও নাই এবং এ বিষয়ে কিছুই জানেন না।

তিনি বলেন, আমরা গতবারের মত এবারও জাকির খানের জামিন আবেদন করেছিলাম। আদালত এবারও হাইকোর্টের একটি আদেশের কারণে জামিন মঞ্জুর করেন নি। এ মামলার পরবর্তী তারিখ আগামী ৬ই অক্টোবর।

এদিকে বরাবরের মতো এবারও জাকির খানের মুক্তি দাবি মিছিল ও সমাবেশ করেছে জাকির খান মুক্তি পরিষদ। মিছিলটি ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড (চানমারি) থেকে বের হয়ে নারায়ণগঞ্জের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা ও মহানগর বিএনপির সাবেক কার্যালয়ের সামনে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্যদিয়ে শেষ হয়।

সমাবেশে বক্তরা বলেন, আপনারা জানেন জাকির খান দীর্ঘদিন ধরে একটি মিথ্যা মামলায় কারাবন্দি আছেন। ওই মামলার বাদি বিশ্ব মীর জাফর। মীর জাফর তৈমূর আলম খন্দকার তার রাজনৈতিক জীবনের স্বার্থ হাসিল করার জন্য নারায়ণগঞ্জের মা মাটি ও মানুষের নেতা জাকির খানকে একটি মিথ্যা হত্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে। আমরা বিএনপির নেতাকর্মীরা এ মিথ্যাবাদি প্রত্যারক তৈমূর আলম খন্দকাতরের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, তিনি যদি মনে করেন আওয়ামী লীগের পেতাত্মা হয়ে জাকির খানকে কারাবন্দি করে নারায়ণগঞ্জে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আর্দশ বাস্তবায়নে বাধা সৃষ্টি করবেন, তাহলে আমরা জিয়ার সৈনিকেরা বেঁচে থাকতে শেখ হাসিনার কোন এজেন্টকে এ অসৎ উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করতে দেবো না। তৈমূর আলম খন্দকার রাতের অন্ধকারে শেখ হাসিনার সাথে আতাঁত করে একটি অবৈধ নির্বাচনকে বৈধতা দেয়ার জন্য কোটি কোটি টাকার বিনিময়ে তিনি জাতির সাথে বেঈমানি করেছেন। এই জাতীয় বেঈমানকে আমরা ঘৃণাভর চিত্তে পরিহার করি।

‘জাকির খান মুক্তি পরিষদ’র আহ্বায়ক সলিমুল্লাহ্ করিম সেলিমের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন, একই কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ফরিদ আহমেদ, সদর থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক লিংকন খান, জেলা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি এইচএম হোসেন, জাকির খান মুক্তি পরিষদ নেতা আমিনুল ইসলাম, জেলা যুবদলের সাবেক সহ সভাপতি পারভেজ মল্লিক, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, জেলা গার্মেন্টস শ্রমিক দলের সভাপতি কাউসার আহমেদ, জেলা জাসাসের যুগ্ম আহ্বায়ক মো: জাকির আহমেদ, মহানগর মৎস্যজীবী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক শ্রী ঋষিকেশ মন্ডল মিঠু, সদর থানা গার্মেন্টস শ্রমিক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ সালেহ আহমেদ রনি, সদর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক কাঞ্চন আহমেদ, জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক রাকিব হাসান রাজ, নারায়ণগঞ্জ জেলা মৎস্যজীবী দলের সিনিয়র সহ সভাপতি মুন্সী মো শাহজালাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মো: আল আমিন হৃদয়, সহ সভাপতি আজিজুল হক, দপ্তর সম্পাদক আদনান ইব্রাহিম, মহানগর মৎস্যজীবী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহীন আহমেদ, মীর রাজিব, শাহাদাত হোসেন সানু, সদর থানা গার্মেন্টস শ্রমিক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মো: খোকন, মো: সুমন, সদর থানা মৎস্যজীবী দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাজী সোহেল, ফতুল্লা থানা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি সলিমুল্লাহ হৃদয়, সাধারণ সম্পাদক জুনায়েদ শুভ, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ ফয়সাল বেপারী, সহ সভাপতি সোহাগ রাজ, বন্দর উপজেলা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি মো হাসান মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক মো রুবেল, মো: কালাম, মো: কাইয়ূম ও আড়াইহাজার ও সোনারগাঁও উপজেলা মৎস্যজীবী দলের নেতৃবৃন্দরা সহস্রাধীক নেতাকর্মী।

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com