প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে ক্রীড়া সংস্থার সংবাদ সম্মেলন

প্রেসবাংলা ২৪.কম:  পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থা। বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকালে সামসুজ্জোহা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক তানভীর অাহমেদ টিটু সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ সংবাদ সম্মেলন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তারা জানান, জেলা ক্রীড়া সংস্থার একটি ‘বার্ষিক সাধারণ সভা’ গুরুত্বপূর্ণ সভা। অনেক শ্রম দিয়ে এ সভার আয়োজন হয়ে থাকে। জেলা ক্রীড়া সংস্থার মত একটি মর্যাদাপূর্ণ প্রতিষ্ঠান সাধারণ সভার ব্যানার টানিয়ে ছবি তুলে তা প্রচার করেছে এ ধরনের অসত্য বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাই। জেলা ক্রীড়া সংস্থার বার্ষিক সাধারণ সভাই হয়নি,এটিও পুরোটাই মিথ্যাচার । জেলা ক্রীড়া সংস্থার রেজুলেশন সভা শেষে অনধিক ২দিনের মধ্যে তা লিখিত আকারে লিপিবন্ধ করা হয়। এর পর তা সঠিকভাবে লিপিবদ্ধ হয়েছে কিনা যাচাই-বাছাই করার পর সভার যিনি সভাপতি তাঁর স্বাক্ষরের জন্য নোটসহ ফাইল প্রেরণ করা হয় জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছে। পত্রিকায় বলা হয়েছে রেজুলেশন তৈরী করে বেশ কয়েক মাস পর তাতে উপস্থিতির স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে এ ধরনের তথ্যও মিথ্যার সামিল। জেলা ক্রীড়া সংস্থায় যারা কর্মকর্তা হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন তারা সবাই সচেতন এবং দায়িত্বপালনে তারা সকলেই সজাগ ও সচেতন। তারা সভায় উপস্থিত না থেকে রেজুলেশনে স্বাক্ষর করেছেন, তা প্রকারন্তরে তাঁর মর্যাদা ও দায়িত্বকে অপমানিত করা হয়েছে বলে মনে করি। জেলা প্রশাসক পদাধিকারবলে জেলা ক্রীড়া সংস্থারও সভাপতি। তাঁর সভাপতিত্বে সভা অনুষ্ঠিত হয়। তিনি উপস্থিত থাকলেও স্বাক্ষর নেই বলা হয়েছে, এটাকে আমরা অজ্ঞতার সামিল বলবো। কারণ জেলা প্রশাসক জেলার সর্বোচ্চ প্রশাসনিক কর্মকর্তা। তিনি সভাপতিত্ব না করেই জেলা ক্রীড়া সংস্থার রেজুলেশন বিলম্বে লিখে তাতে সভার সভাপতি হিসেবে স্বাক্ষর দিয়ে দিবেন,এটাও তাঁর পদমর্যাদাকে ক্ষুন্ন করা হয়েছে বলে জেলা ক্রীড়া সংস্থা মনে করে। জেলা ক্রীড়া সংস্থার সম্মানিত সভাপতিকে এভাবে খাটো করার অপপ্রয়াসের তীব্র নিন্দা জানাই।

 

সরকারী চাকুরী বিধির নিয়মই হচ্ছে বদলী। ঐ সময়ে জেলা প্রশাসক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি আনিসুর রহমান মিঞার বদলীর বিষয়টি সরকারী নিয়ম মোতাবেক স্বাভাবিক। এখানে জেলা ক্রীড়া সংস্থার কোন কাজে ব্যতয় ঘটেছে বলে আমরা মনে করি না। এক জায়গায় বলা হয়েছে স্বাক্ষরের তালিকায় ছিল ৬৩ জন। ২৮ জনের স্বাক্ষর নেই। যারা নেই তারা কেন স্বাক্ষর করবেন? লেখার এক জায়গায় বলা হয়েছে স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে পরে, আবার বলা হলো ২৮ জনের স্বাক্ষর নেই। স্বাক্ষর যদি পরেই নেওয়া হয় তাহলে ঐ ২৮ জনের স্বাক্ষর বাদ যাওয়ার কথা নয়।

 

(এক জায়গায় বলা হয়েছে, এওয়াজ বদল হলেও আসল ক্রেতা টিটু! এ বাক্য ব্যবহারের তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানাচ্ছি।

 

পত্রিকার প্রতিবেদক আসল ক্রেতা টিটু, এর কোন প্রমাণ উপস্থাপন না করেই শুধুমাত্র একজন সম্মানিত ব্যক্তির সুনাম, মর্যাদা ক্ষুন্ন করেননি, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদকের মত দায়িত্বশীল ব্যক্তির মর্যাদাও ভুলুণ্ঠিত। করেছেন। ব্যক্তি বিদ্বেষে এ ধরনের সংবাদ পরিবেশন করলে সততার প্রশ্ন উত্থাপিত হবে। ভুমির এওয়াজ বদল পক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে সর্বসম্মতভাবে ক্রীড়া সংস্থার খেলার মাঠ উন্নয়ণে সর্বোচ্চ সম্ভাব্যতা যাচাই করেই ভূমির এওয়াজ বদলের কাজটি অধিকতর সুবিধা নিয়েই সম্পন্ন করা হয়েছে। যাচাই না করে সঠিক তথ্য প্রমাণ না দিয়েই একজন মর্যাদাবান ব্যক্তির সম্মান নষ্ট করার এ ঘৃণ্য অপচেষ্টাকে জেলা ক্রীড়া সংস্থা তীব্র ভাষায় নিন্দা জানাচ্ছে। জেলা ক্রীড়া সংস্থার জায়গার মালিক দলিল মূলে জেলা ক্রীড়া সংস্থাই। এর সার্বিক উন্নয়ণে বাস্তবতার নিরিখে আলাপ আলোচনা এবং সরকারের অর্থ প্রাপ্তি সাপেক্ষে পরিকল্পনা নেওয়া হয়। এটি একটি চলমান পক্রিয়া বিদ্যমান ওসমানী পৌর স্টেডিয়ামটি সংস্কার প্রশ্নে ক্রীড়া সংস্থা সব সময়ই সজাগ। হেবা দলিল বা দানপত্রে জমি দাতা নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার নাম প্যাভিলিয়ন ব্লকে নামফলক স্থাপনের শর্ত ছিল-এ বক্তব্য কখনই জেলা ক্রীড়া সংস্থা অস্বীকার করেনি। বরং বিদ্যমান পুরোনো স্টেডিয়াম সংস্কার কাজের জন্য পুরোনো এবং জরাজীর্ণ বিল্ডিংটি ভেঙ্গে ফেলতে হয়েছে। নতুন করে প্যাভিলিয়ন বিল্ডিং নির্মাণের পর জেলা ক্রীড়া সংস্থা সেখানে যথাযথভাবে জমি দানের শর্তাবলী অবশ্যই পূরণ করবে।

 

এ সময়ে অারও উপস্থিত ছিলেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি কেইউ অাকসির, খবির উদ্দিন অাহমেদ, এজেডএম ইসমাইল বাবুল, ফারুক বিন ইউসুফ পাপ্পু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ অালম নাসির, মোস্তফা কাউসার সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com