২০ বছরেও শেষ হয়নি চাষাড়ায় বোমা হামলা মামলার বিচার
প্রেসবাংলা ২৪.কম: ১৬ জুন, ২০০১ সালের এই দিনে নারায়ণগঞ্জের চাষাড়া আওয়ামী লীগ অফিসে বোমা হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগ-যুবলীগ-আওয়ামী লীগের ২০ নেতা-কর্মী নিহত হন। আহত হন তৎকালীন সংসদ সদস্য শামীম ওসমানসহ অর্ধশত নেতাকর্মী। কিন্তু বোমা হামলার ঘটনার পর দীর্ঘ ২০ বছর পেরিয়ে গেলেও এই মামলার বিচারকাজ শেষ হয়নি। বিচার শেষ না হওয়ায় ক্ষোভ ও আক্ষেপে সময় পার করছেন নিহতদের স্বজন ও ভুক্তভোগীরা।
জানা যায়, ২০০১ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের মেয়াদের শেষ দিকে চাষাড়া আওয়ামী লীগ অফিসে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। রাত পৌনে ৮টার দিকে তখনকার সংসদ সদস্য শামীম ওসমান যখন কর্মীদের সঙ্গে রাজনৈতিক আলোচনায় ব্যস্ত ছিলেন, সে সময় বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। সেই হামলায় ২০ জন নেতাকর্মী প্রাণ হারান। শামীম ওসমানসহ আহত হন কমপক্ষে শতাধিক ব্যক্তি। চিরতরে পঙ্গুত্ব বরণ করেন চন্দন শীল ও রতন দাস। এই ঘটনার মামলায় সাত বার তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত মামলার বিচার কাজ শেষ হয়নি। শেষ গত বছর আদালতে পুনরায় তদন্তের দাবী জানিয়েছেন সাংসদ শামীম ওসমান।
গত বছরের ৭ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শেখ রাজিয়া সুলতানার আদালতে সাংসদ শামীম ওসমান সাক্ষী দিতে এসে, আইনজীবীর মাধ্যমে মামলার তদন্তের বিষয়ে তিনি না রাজি দিয়েছেন। আবেদনে তিনি জানান, পুলিশ সুপার পদ মর্যাদার একজন কর্মকর্তাকে দিয়ে জেনো মামলাটি পুনরায় তদন্ত করা হয়।
ঐ সাক্ষ্য প্রদান শেষে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান গনমাধ্যমকে বলেন, ২০০১ সালে ১৬ জুন বোমা হামলার যে চার্জশীট দেয়া হয়েছে তা মানি না। বোমা হামলার ঘটনার পরপর আমার কাছ থেকে সাক্ষ্য নেয়া হয়েছিল। সে সময় যে স্বাক্ষী দিয়েছিলাম তার সাথে চার্জশীটের কোনো মিল নেই। বিষয়টি আদালতকে অবগত করেছি, আদালত তা গ্রহণ করে পিপিকে পিটিশন দেয়ার জন্য আদেশ দিয়েছেন।
উলেখ্য, ২০০১ সালের ১৬ জুন নারায়ণগঞ্জের চাষাড়াস্থ শহীদ মিনার সংলগ্ন আওয়ামী লীগ অফিসে শক্তিশালী একটি বোমা হামলা হয়। ওই বোমা হামলায় ২০ জন নিহত ও অর্ধশতাধিক আহত হয়। অনেকে পঙ্গুত্ব বরণ করে। বোমা হামলার ঘটনায় তৎকালীন সময়ে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট খাকন সাহা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন।