না‘গঞ্জে হকারদের সড়ক অবরোধ করে অগ্নিসংযোগ, পুলিশের লাঠিচার্জ 

না‘গঞ্জে হকারদের সড়ক অবরোধ করে অগ্নিসংযোগ, পুলিশের লাঠিচার্জ 

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি, প্রেসবাংলা২৪.কম: নারায়ণগঞ্জ শহরের ফুটপাতে বসার দাবীতে আবারো আন্দোলনকৃত হকারদের সঙ্গে পুলিশের উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। হকাররা সড়ক অবরোধ করে রাস্তায় অগ্নিসংযোগ বিক্ষোভ করে। এসময় পুলিশের সঙ্গে হকারদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া সহ গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ করলে হকাররা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এসময় পথচারী সহ ২৫/৩০ জন আহত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ মার্চ) বিকেলে থেকে রাত্র পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ শহরে এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে পুলিশের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে হকাররা শহরে মিছিল বের করায় লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এসময় তিনটি যাত্রীবাহী বাস, একটি প্রাইভেটকার, ৬টি ব্যাটারি চালিত অটো রিকশা ভাঙচুর করে। ওই সময়ে বাস থেকে ভয়ে লাফিয়ে নামতে গিয়ে একজন নারী সহ ৮ জন আহত হয়। হকারদের ইটপাটকেলে অন্তত ১০জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে দাবী করেছে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশ। বিপরীতে হকারদের দাবী পুলিশের লাঠিচার্জে তাদের নেতা আসাদুজ্জামান সহ অন্তত আরো ১৫ জন আহত হয়েছে।
জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ শহরে হকারদের ফুটপাতে বসার দাবীতে গত কয়েকদনি ধরেই বিক্ষোভ করে আসছে হকারদের একটি অংশ। মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় শহরে আবারো বিক্ষোভ করে। মিছিলটি চাষাঢ়ায় গোল চত্ত্বর এলাকাতে পৌছালে পুলিশ বাধা দেয়। ওই সময়ে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে মিছিল আগাতে চাইলে পুলিশ মৃদু লাঠিচার্জ করে ও হকার নেতা আসাদকে আটক করে। এ ঘটনার জের ধরে হকাররা বঙ্গবন্ধু সড়কে মডার্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। তারা সড়কের মধ্যে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। হকাররা কাপড় ঝুট ও চৌকি ফেলে সেখানে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে শহরের কালিরবাজার গ্রীন্ডলেজ ব্যাংকের মোড়েও একই পন্থায় আগুন ধরিয়ে দেয়।
তখন সদর মডেল থানার ওসি শাহ জামানের নেতৃত্বে পুলিশ অ্যাকশনে যাওয়ার চেষ্টা করলে হকারদের আরেকটি গ্রুপ সুগন্ধা রেস্টুরেন্টের সামনে গিয়ে সড়কে হকারদের কাগজ সহ অন্যান্য কাপড় সারিবদ্ধ রেখে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে করে বঙ্গবন্ধু সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ সেখানে গেলে হকাররা সরে যায়। প্রায় এক ঘণ্টা পর বঙ্গবন্ধু সড়কে যান চলাচল শুরু হয়। পরে হকারদের আরেকটি গ্রুপ নবাব সলিমুল্লাহ সড়কে হকার্স মার্কেটের সামনেও সড়ক বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখায়। সেখানেও পুলিশ গিয়ে তাদের সরিয়ে দেয়। হকারদের তান্ডবে পুরো শহর যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সন্ধার পর অতিরিক্ত পুলিশ এসে শহরে অবস্থান নেয় এবং জলকামান এনে  পরিস্থিতি শান্ত করে।
এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি শাহ জামান বলেন, হকারদের একটি গ্রুপ মিছিল বের করে জনস্বার্থে ব্যাঘাত ঘটায়। তখন পুলিশ তাদের বাধা দেয়। একজনকে আটক করে। তখন হকাররা সড়ক অবরোধ করলে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়। তারা রাস্তায় আগুন ধরিয়ে বিক্ষোভ করে।
এর আগে ৭ মার্চ রোববার বিকেলে শহরের চাষাঢ়া এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে ২নং রেলগেইট হয়ে গলাচিপা মোড় পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল শেষে সমাবেশ করেন। সেদিনও হকাররা শহরে বিক্ষোভ দেখায়।
WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com