না’গঞ্জের বাবুরাইল খালটিতে এখন আকর্ষনীয় সুইমিংপুল !

না’গঞ্জের বাবুরাইল খালটি এখন আকর্ষনীয় সুইমিংপুল !

 

আব্দুল্লাহ আল ইমরান, প্রেসবাংলা২৪.কম: নগরীর বাবুরাইল খালটি এখন সুইমিংপুলে রুপান্তরিত হয়েছে। সুইমিংপুলের আমেজ নিয়ে এলাকার কিশোর ও যুবক ছেলেরা প্রতিদিন সাতার কাটে এই খালটিতে। বৃষ্টির কারনে প্রচুর পরিমানে পানি জমা হয় এই খালটিতে । সেই সুবাদে কিশোর ও যুবকরা খালের পানিতে গোছল করতে নেমে পরে প্রতিদিন।

 

একসময় এই খালটি শীতলক্ষ্যা  থেকে ধলেশ্বরী পর্যন্ত নৌকা চলাচল করলেও সময়ের পরিবর্তনে মানুষের দখল দূষণে খালটি একটি ড্রেনে পরিনত হয়। দীর্ঘদিন এই খালটি রক্ষনাবেক্ষনের কোন চেষ্টাই করেননি কেউ। কালক্রমে এটি একটু সরু ড্রেনে পরিনত হয়। ফলে  দুই নদীর সংযোগ এই খালটিতে নৌকা চলাচল বন্ধ হয়ে যায় ।

 

সূত্র মতে, আশির দশকেও শীতলক্ষ্যা ও ধলেশ্বরী নদীর সঙ্গে সংযোগ ছিল তিন কিলোমিটারের বাবুরাইল খালের। এ খাল হয়ে শীতলক্ষ্যা ও ধলেশ্বরী নদীতে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পাটসহ নানা পণ্যবাহী নৌকা চলাচল করত। তখন এ খালের পানিও ছিল স্বচ্ছ। এলাকার লোকজন গোসলসহ নানা কাজে খালের পানি ব্যবহার করত। নব্বইয়ের দশকের পর থেকে খালটি আস্তে আস্তে দখল ও ভরাট হতে থাকে। এরপর খালে আর নৌকা চলাচল করেনি। ভরাটের কারণে খালটির অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়ে। দূষণমুক্ত ও পরিবেশ রক্ষায় এ খাল দখলমুক্ত করে খনন করার দাবি জানিয়ে আসছিল পরিবেশবাদী সংগঠনসহ নগরবাসীরা।

 

অনেকদিনের পরিত্যাক্ত  এই খালটির দিকে নজর দেন বর্তমান নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন এর মেয়র ডা: সেলিনা হায়াত আইভি । নারায়ণগঞ্জবাসীর প্রত্যাশা পুরণে তিনি এই খালটি পুনরুদ্ধারের উদ্যোগ গ্রহণ করেন।

 

 ২৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে চারটি প্রকল্পের আওতায় বাবুরাইল খাল খনন, দুই পার সংস্কার করে ওয়াকওয়ে নির্মাণ এবং দৃষ্টিনন্দন লেক করা হবে। নগরীর মীনাবাজার এলাকায় (হংস হল) খননযন্ত্র (ভেকু) দিয়ে বাবুরাইল খালে উচ্ছেদ ও খননকাজ করা হয়।

 

প্রথম ধাপে প্রায় ১৭ কোটি টাকা ব্যায়ে শীতলক্ষ্যা নদীর তীরবর্তী মীনা হোটেলের পাশ থেকে মন্ডলপাড়া মোড় পর্যন্ত খাল খনন, খালের দুই পাড় সংস্কার, ওয়াকওয়ে ও লেক করা হয়।  এখন এগিয়ে চলছে বাবুরাইল খালের উন্নয়ন কাজ। কাজ সম্পন্ন হলে নারায়ণগঞ্জ এর সবচেয়ে আকর্ষনীয় স্থানে পরিনত হবে এই খালটি।

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com