১৫ মাস পরে বুড়িগঙ্গায় ডুবে যাওয়া বাল্কহেড উদ্ধার

ফতুল্লা প্রতিনিধি, প্রেসবাংলা২৪ডটকম: প্রায় ১৫ মাস পরে বুড়িগঙ্গা নদীতে ডুবে যাওয়া একটি বাল্কহেড উদ্ধার করা হয়েছে। ২০১৯ সালের ১ ফেব্রুয়ারী ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ ও বক্তাবলী ঘাট এলাকার মাঝামাঝি নদীতে এমভি ইয়াদ নামের যাত্রীবাহী একটি লঞ্চের ধাক্কায় এমআরএস নেভিগেশন নামের ওই বাল্কহেডটি ৫ জন শ্রমিক নিয়ে ডুবে যায়। দীর্ঘদিন পরে বাল্কহেডটি উদ্ধার করা হলেও ওইসময় নিখোঁজ শ্রমিক রিয়াদ হাসান শান্ত (১৮) ও হারুনের (৩৫) খোঁজ মিলনি।
সোমবার (৪ মে) ফতুল্লার বুড়িগঙ্গা নদী থেকে বাল্কহেডটি উদ্ধার করা হয়। এর আগে ২০১৯ সালের ৪ ফেব্রুয়ারী ওই বাল্কহেডটির মালিক রাজধানীর শনির আখড়া গোবিন্দপুর এলাকার আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী শাহিনা আক্তার লিপি ফতুল্লা মডেল থানায় একটি মামলা করেন।
মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, ৬০ লাখ টাকা মূল্যের এমআরএস নেভিগেশন নামের ওই বাল্কহেডটি ৬ লাখ টাকার বালু নিয়ে ২০১৯ সালের ২৯ জানুয়ারি সিলেট থেকে রওনা হয়। বাল্কহেডটিতে ওইসময় একজন সুকানী ও ৪ জন শ্রমিক ছিলো। দুইদিন পরে তা ১ ফেব্রুয়ারী সন্ধা ৬টার দিকে ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীতে এলে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বরগুনাগামী এমভি ইয়াদ নামের যাত্রীবাহী একটি লঞ্চ বেপরোয়া গতিতে বাল্কহেডটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তা ডুবে যায়। এতে বাহনটিতে থাকা ৫ জনও নিখোঁজ হয়। পরে সুকানি ও দুইজন শ্রমিককে উদ্ধার করা হয়। কিন্তু শ্রমিক রিয়াদ হাসান শান্ত ও হারুনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। শান্ত রূপগঞ্জের বাঘবাড়ি এলাকার শামীম হোসেন ভুইয়ার ও হারুন মুন্সিগঞ্জের মোক্তারপুর কাঠপট্টি এলাকার শহীদুলের ছেলে। বাল্কহেডটি ডুবে যাওয়ায় ৬৭ লাখ টাকার আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন জানান, আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।