সিদ্ধিরগঞ্জে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চলছে কয়েল কারখানা : প্রশাসন নীরব
সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি, প্রেসবাংলা২৪ডটকম: সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পশ্চিম পাড়া হাজেরা মার্কেট এলাকায় সরকারের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কয়েল উৎপাদন ও পণ্য পরিবহন অব্যাহত রেখেছে একটি কয়েল কারখানা।
করোনা আতঙ্কে দশ দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণার পরও এসব প্রতিষ্ঠানে সিদ্ধিরগঞ্জ পুলিশের অসাধুপনার কারণে প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম বন্ধ হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন শ্রমিক-কর্মচারীরা। এখানে একাধিক মালিকানায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানসহ মোট ৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আজ বৃহস্পতিবার এখলাছ উদ্দিনের একটি কয়েল কারখানা খোলা পাওয়া গেছে। বাকি সাতটি প্রতিষ্ঠান করোনাভাইরাস আতঙ্কে থাকা শ্রমিকদের চাপের মুখে বন্ধ করা হয়েছে- এমন তথ্য কর্মরতদের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যাক্তি অভিযোগ করে বলেন, সরকার করোনা আতঙ্কে দশ দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণার পরও সরকারের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মিজমিজি পশ্চিম পাড়া হাজেরা মার্কেট সংলগ্ন এখলাছ উদ্দিনের কয়েল কারখানায় রাত-দিন চলছে কয়েল তৈরির কাজ। এসব কয়েল কারখানা খোলা থাকায় আতঙ্কে আছে এলাকাবাসী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কারখানার এক শ্রমিক বলেন, ভাই আমরা কি করবো বলেন? মালিকের চাপের মূখে পরে আমাদের কাজ করতে হচ্ছে। কাজ না করলে আমাদের কোনো বেতন দেওয়া হবে না। আমরা এখন কোথায় যাবো? কি করবো? কাজ না করলে আমাদের সংসার চলবে না। আমরা খাবো কি?
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কয়েল কারখানার ম্যানেজার ফিরোজ বলেন, আমাদের সরকারি লাইসেন্স আছে। আমরা কারখানা চালাতে পারবো। আমাদের কারখানা চালাতে কোনো বাধা নেই।
সরকার করোনা আতঙ্কে দশ দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণার পরও সরকারের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কয়েল কারখানা চালানোর বিষয়ে জানতে চাইলে ফিরোজ বলেন, আমাদের সব কিছু ম্যানেজ করা। আমরা লাইসেন্স দিয়ে কারখানা চালাই। আমাদের কোনো সমস্যা হবে না। আমরা থানা পুলিশ ম্যানেজ করেই কারখানা চালাই। ছবি তুলে কি ফেসবুকে দিবেন দেন? নিউজ করবেন করেন। অনেক সাংবাদিক আমাদের কেনা। কারখানার মালিকের সাথে যোগাযোগ করার জন্য মোবাইল নাম্বার চাইলে তা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে ম্যানেজার ফিরোজ বলেন ওনার নাম্বার দিতে নিষেধ আছে।
এ ব্যাপারে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি কামরুল ফারুককে ফোন করলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেন নি।