কিশোর গ্যাং বাহিনীর প্রধান তুহিন ক্রসফায়ারে নিহত

 

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি, প্রেসবাংলা২৪ডটকম: নারায়ণগঞ্জের কিশোর গ্যাং তুহিন বাহিনীর প্রধান সন্ত্রাসী তুহিন র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। নিহত তুহিন দেওভোগ শান্তিনগরের কাওসার হোসেনের ছেলে।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ভোরে নগরীর সৈয়দপুর এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। র‌্যাব- ১১ সিপিসি ইনচার্জ এএসপি মোস্তাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে কুমিল্লার দেবিদ্বার থেকে সন্ত্রাসী চাপাতি তুহিনকে আটক করেন র‌্যাব সদস্যরা। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বুধবার গভীর রাতে নগরীর সৈয়দপুর এলাকায় অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার অভিযানে যায় র‌্যাব। এসময় আগে থেকে ওঁৎপেতে থাকা তুহিনের সহযোগীরা তাকে ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য র‌্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। র‌্যাবও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোড়ে। এসময় গুলিবিদ্ধ হয় সন্ত্রসী তুহিন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

র‌্যাব জানায়, ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিন রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত তুহিনের বিরুদ্ধে হত্যা, চাঁদাবাজিসহ চারটি মামলা রয়েছে। তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

উল্লেখ্য দেওভোগের হাসেমবাগে শাকিল হত্যার মামলার প্রধান আসামী ছিল তুহিন। গত ২৭ জুলাই শনিবার রাতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শাকিল নামে নিরীহ ওই যুবককে কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে কিশোর গ্যাং সন্ত্রাসী তুহিন ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা। ওই ঘটনায় আরও ছয়জনকে কুপিয়ে আহত করা হয়। পরে তুহিনকে প্রধান আসামী করে ফতুল্লা থানায় একটি মামলা করে নিহত শাকিলের বড় ভাই সাঈদ হোসেন।

এর আগে গত ২৭ জানুয়ারি রাতে দেওভোগ মাদরাসা এলাকায় আলমগীরকেও কুপিয়ে হত্যা করেছিল ওই কিশোর গ্যাং বাহিনীরা। নিহত আলমগীর মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ি থানার দশলং এলাকার লাল মিয়ার ছেলে ছিলো। সে দেওভোগ মাদরাসা এলাকার নুরু মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকতো বলে জানা গেছে। এছাড়াও ওই কিশোর গ্যাং সন্ত্রাসীদের হাতে দেওভোগ নাগ বাড়িতে নির্মমভাবে খুন হয়েছিল হৃদয় হোসেন বাবু নামে আরও এক যুবক।

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com