বৈষম্য দূরীকরণে শিক্ষা সবচেয়ে সক্রিয় মাধ্যম: শিক্ষা উপদেষ্টা

শনিবার (৩১ মে) সকালে নারায়ণগঞ্জ শিল্পকলা একাডেমিতে ‘শিক্ষার্থীদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষাকে কর্মদক্ষতা ও আত্মউন্নয়নের পথ হিসেবে অভিহিত করে ড. আবরার বলেন, “শিক্ষা হতে হবে আর্থসামাজিক উন্নয়ন, বিজ্ঞানভিত্তিক উৎকর্ষতা এবং সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার সহায়ক। নোটবই ও কোচিং নির্ভরতার মূল কারণ হলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো তাদের দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করছে না। এখনই সময় আমাদের ভুল চিহ্নিত করার এবং তার সমাধান খোঁজার।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা সস্তা জনপ্রিয়তার পেছনে না ছুটে এমন শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চাই যেখানে একজন শিক্ষার্থী তার প্রকৃত অর্জনের ভিত্তিতেই ফলাফল পাবে। অতীতে তরুণ প্রজন্মকে নিয়ে অনেক বাড়াবাড়ি করা হয়েছে, এখন সময় এসেছে তাদের বাস্তবিক মূল্যায়নের।”
পূর্বের শিক্ষা ব্যবস্থা প্রসঙ্গে সমালোচনা করে তিনি বলেন, “আমরা এ প্লাস, গোল্ডেন জিপিএর সয়লাব করে দিয়েছি। কিন্তু ৯০ ভাগ শিক্ষার্থী যদি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় ফেল করে, তাহলে সেই ফলাফলের প্রয়োজন কী?”
ড. আবরার আরও বলেন, “স্কুল-কলেজকে আরও আকর্ষণীয় করতে হবে যাতে শিক্ষার্থীরা আগ্রহ নিয়ে শ্রেণিকক্ষে আসে। কারিগরি শিক্ষাকেও সমান গুরুত্ব দিতে হবে। একই সঙ্গে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ করে এগুলোকে প্রকৃত জ্ঞানচর্চার কেন্দ্রে পরিণত করতে হবে।”
সভায় সভাপতিত্ব করেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের এবং সঞ্চালনা করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. জাহিদুল ইসলাম মিঞা।
প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আজাদ খান।
মুখ্য আলোচক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট অব এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মনিনূর রশিদ।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদারসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, স্থানীয় রাজনীতিবিদ ও শিক্ষক-ছাত্র প্রতিনিধিরা।