৪ মাসে না’গঞ্জে একটি বাল্য বিবাহের অভিযোগ পাওয়া যায়নি : ডিসি
প্রেসবাংলা ২৪. কম: নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোঃ মঞ্জুরুল হাফিজ বলেছেন, গত ৩-৪ মাসের মধ্যে নারায়ণগঞ্জে একটি বাল্যবিবাহের অভিযোগ পাওয়া যায়নি।বাল্য বিবাহ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জে স্বস্তিকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বাল্যবিবাহ বিষয়ে আমরা এর আগে সকল ইমাম, সকল কাজী, সকল ঘটকদের নিয়ে মিটিং করেছি। ইতিপূর্বে বাল্যবিবাহের অভিযোগে কাজী ঘটকসহ বাবা মাকেও জেলে পাঠিয়েছি। যে কারণে এখন কোন কাজী কিংবা ইমামকে বিয়ে পড়ানোর কথা বললে তারা অন্তত ২০ বার চিন্তাভাবনা করবে।
বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ প্রকল্প বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭, বাল্যবিবাহ নিরোধ বিধিমালা ২০১৮, জেন্ডার সমতা, শিশু সুরক্ষা বিষয়ে সাংবাদিকদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধান অতিথি নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোঃ মঞ্জুরুল হাফিজ। অনুষ্ঠানটির আয়োজনে ছিল ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন। সহযোগিতায় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন এবং প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল।
তিনি আরও বলেন, বিয়ে পড়ানোর দুই বছর পর্যন্ত কাজী ঘটক বাবা মা স্বামী শ্বশুর শাশুড়ি সবাইকে আইনের আওতায় আনা যায়। বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে সাংবাদিকদের ভূমিকা অনেক। বিশেষ করে বাল্যবিবাহে ঘটনায় শাস্তির বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রচারিত হলে সেটি যদি ৫ হাজার লোকও পড়ে তাহলে তারা এখন হবে। আইনের প্রয়োগের পাশাপাশি প্রচার হলে বাল্যবিবাহের প্রবণতা কমে আসবে। আমাদেরকে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর নারায়ণগঞ্জ জেলার উপ পরিচালক মাহাবুবুল আলম, নারায়ণগঞ্জ জেলা তথ্য অফিসার মোহাম্মদ কামরুজ্জামান। অনুষ্ঠানে প্রেজেন্টেশন উপস্থাপনা করেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের ডিভিশনাল ম্যানেজার মোঃ ফিরোজ আহমেদ। সঞ্চালনায় ছিলেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের ডিস্ট্রিক্ট কোঅর্ডিনেটর তপন কুমার সরকার। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স, প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ার নারায়ণগঞ্জ জেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।