পুলিশের গুলিতে নিহত শাওনের বাড়িতে মির্জা ফখরুল

ফতুল্লা প্রতিনিধি, প্রেসবাংলা২৪.কম: নারায়ণগঞ্জে বিএনপি পুলিশের সাথে সংঘর্ষে রাজ আহমেদ শাওন প্রধান নামে এক যুবক গুলিতে নিহতের ঘটনার একদিন পর নিহতের পরিবারকে শান্তনা দিতে তাদের বাড়িতে ছুটে আসেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি শত শত নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে শাওনের বাড়িতে ছুটে আসেন এবং নিহতের মাকে শান্তনা দেন এবং নিহতের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া করা হয়।
শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা নবীনগর এলাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত রাজ আহমেদ শাওনের বাড়িতে এসে পরিবারকে সমবেদনা জানান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এসময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গনতন্ত্রের জন্য, গনতান্ত্রিক অধিকারের জন্য প্রান দিয়েছে নারায়ণগঞ্জের শাওন। সে আমাদের যুবদলের কর্মী। তার চাইতে বড় পরিচয় সে এদেশের নাগরিক তাকে পুলিশ এভাবে গুলি করে মারতে পারে না। আমরা সন্ত্রাসে বিশ্বাস করিনা বিশৃঙ্খলায় বিশ্বাস করিনা আমরা শান্তি পূর্ণভাবে গনতান্ত্রিক আন্দোলনে বিশ্বাস করি। নারায়ণগঞ্জে একটা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ যে ভাবে গুলি চালিয়েছে একটা স্বাধীন দেশে তা চলতে পারে না।
মির্জা ফখরুল আরো বলেন, পুলিশ আমাদের শত্রু নয়, আপনারা কারো হুকুম পালন করবেন না। নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার বক্তব্যে বলেছেন শাওন যুবদলের কর্মী নয় দবি করা হয়েছে। কিন্তু, সেতো একজন মানুষ। তাঁকে কেন হত্যা করা হলো?
নেতাকর্মীদের শান্ত থাকার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করতে হবে। আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে বিদায় করতে হবে।
এদিকে নারায়ণগঞ্জে পুলিশ- বিএনপির সংঘর্ষে পুলিশের গুলিতে শাওন নিহত হওয়ার ঘটনায় রাজনীতি শুরু হয়ে গেছে। নিহত শাওন ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শওকত আলীর ভাতিজা। সেই সুবাদে তাদের স্বজনরা শাওনকে যুবলীগ কর্মী হিসাবে দাবি করা হয়েছে। আর বৃহস্পতিবার রাতে শাওনকে যুবদল নয় বলে তার বাড়ির সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। অপরদিকে যুবদল কর্মী দাবি করে শুক্রবার শাওনের বাড়িতে ছুটে আসেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এসময় শত শত নেতাকর্মীদের ভিড়ের মধ্যে নিহত শাওনের মায়ের সাথে কথা বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তাকে শান্তনা দিয়ে সমবেদনা জানান।
প্রসঙ্গত বৃহস্পতিবার বিএনপি প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর র্যালীতে পুলিশ বাধা দিলে বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় শাওন। এছাড়া পুলিশের ১৫ জন এবং বিএনপির প্রায় শতাধিক নেতাকর্মী আহত হন।