সমাজে ইমামদের গুরুত্ব অনেক : জেলা প্রশাসক

প্রেসবাংলা ২৪. কম: ২০২১-২০২২ অর্থ বছরের জেলা পর্যায়ে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা এবং সামাজিক সমস্যা নিরসন শীর্ষক প্রশিক্ষন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (৭ আগস্ট) সকালে জেলা প্রশাসনের সভাকক্ষে বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশনে নারায়ণগঞ্জ জেলার আয়োজনে এই প্রশিক্ষন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন জেলার উপ-পরিচালক মো. মহিউদ্দিন’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মুঞ্জুরুল হাফিজ। আরও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক ফাতেমা তুল জান্নাত, নারায়ণগঞ্জ ইসলামিক কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. শাহজাহান মিয়া, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতীব মুফতী মো. ইকরাম হোসাইন, জেলা সন্ত্রাস ও নাশকতা প্রতিরোধ কমিটির সদস্য মাওলানা মো. সিরাজুল ইসলাম মুনির, কুুসুমবাগ জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা সুলতান মাহমুদ আল ক্বাফী, ভূইঘর পশ্চিমপাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম মুফতি মাজহারুল ইসলাম, জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাস্টার ট্রেইনার মাওলানা কবীর আহমেদ, ফিল্ড অফিসার মুজাহিদুল ইসলাম, ফিল্ড সুপার ভাইজার সাইফুল ইসলাম, এমএ মামুন সহ আরও অনেকে।
এ সময়ে প্রধান অতিথি বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মুঞ্জুরুল হাফিজ বলেন, ইমাম-খতিবগণ সমাজের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব ও বিশেষ সম্মানের অধিকারী। তারা মসজিদে প্রতি জুমায় মুসলমানদের উদ্দেশ্যে কোরআন-হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়ে বয়ান দেন। তাদের বয়ানে ইসলামের মূলনীতি, নান্দনিক আদর্শ, কোরআন-হাদিসের বিধান ও ইসলামের ইতিহাস-ঐতিহ্য যেমন থাকে, তেমনি থাকে সমকালীন সময় সম্পর্কে ইসলামের দিক-নির্দেশনা। জুমার দিন লাখ লাখ মুসল্লি গুরুত্ব সহকারে খুতবা ও খুতবাপূর্ব বয়ান শুনেন।
তিনি আরও বলেন, সমাজ উন্নয়নমূলক নানা কাজে ইমামদের ভূমিকা অপরিসীম। ধর্মীয় হানাহানি বন্ধ, মানবতাবিরোধী বিভিন্ন কর্মকান্ডের বিষয়ে জনমত গঠন, মাদকের কুফল, সন্ত্রাসের ভয়াবহতা, নারী নিগ্রহের অপকারিতা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা, সমাজের স্থিতিশীল উন্নয়ন ধরে রাখা এবং পরিবেশ শান্ত রাখার জন্য তাদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। অপরাধী, মাদক নেশা, নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ তাদের বক্তব্য ও ভূমিকা অন্যসব কর্মসূচীর চেয়ে ফলদায়ক। অতি সহজে তারা যেকোনো কর্মসূচী বাস্তবায়ন করে সমাজ ও রাষ্ট্রকে উপকৃত করার ক্ষমতা রাখেন।
সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা এবং সামাজিক সমস্যা নিরসনের লক্ষ্য সাধারণ মানুষদের নানা ভাবে উদ্ধদ্ধু করার আহবান জানান।
প্রশিক্ষন কর্মশালা শেষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ৪১জন ইমামের মাঝে আর্থিক সহযোগীতা এবং ৬জনকে বিনা সুদে ঋনের চেক প্রদান করা হয়।