জুয়েলের নেতৃত্বে স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
প্রেসবাংলা ২৪. কম: নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি মোঃ জুয়েল হোসেন বলেন, ছাত্র রাজনীতি থেকে এখানে এসেছি। অনেকে দুষ্টমি করে কথা বলবে। অনেকে ভালো কথা বলবে স্বাভাবিক। যোগ্য পিতা যোগ্য কণ্যা শেখ হাসিনা। আমার নেত্রী শেখ হাসিনা আমার নেতা শামীম ওসমান। দেশে ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশ স্বর্ণের অক্ষরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২৭ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১ টায় গলাচিপা রূপাবাড়ী এলাকায় মহানগরের ১৩নং ওয়ার্ডে আলোচনা সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আমি স্বার্থক আপনাদের কাছে উদার হতে পেরেছি। আল্লাহর ইশারা ছাড়া গাছের পাতাও নড়ে না। তুমি কে আমি কে বাঙালী বাঙালী স্লোগান দিয়ে ছিলাম, ছাত্র জীবনে। মহানগর কমিটি বাতিল করার পর অনেকে আক্ষেপ করেছে, অনেকে দুঃখ ও কষ্ট পেয়েছে। তাতে কি হয়েছে? পদ গেছে কি হয়েছে? আমরা শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য আমরা এখনো মাঠে রয়েছি। আমরা মানুষকে বিশ্বাস করি। শামীম ওসমান বলেছেন, জুয়েল তুমি মানুষের জন্য কাজ করো। আমরা তার নির্দেশে এখনো সাবেক কমিটির সকলকে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। সরকারী তোলারাম কলেজ থেকে মানুষের সেবা করে যাচ্ছি। রাজনীতিতে পদ হারানোর পরে অনেক সাংবাদিক ভাইয়েরা বলে ছিলেন আপনি এখন হারিয়ে যাবেন? আমি তখন বলেছিলাম, আমার জন্য দোয়া করবেন। আমি সব সময় নেতা-কর্মীদের নিয়ে মাঠে থাকবো। করোনার সময় অনেক সহযোগিতা পেয়েছি আমার মহানগরের নেতা-কর্মীদের কাছ থেকে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রবিউল হোসেন। প্রধান আলোচক ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি মোঃ জুয়েল হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক শিখন সরকার। অনুষ্ঠানের সঞ্চালয়নায় ছিলেন সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ রফিকুল ইসলাম জয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রবিউল হোসেন বলেন, আগামীতে আমরা জুয়েল হোসেনের নেতৃত্বেই মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটি চাই। তিনি প্রতিটি ওয়ার্ড নিজের সন্তানের মত সাজিয়ে তুলেছেন। কোন অপ্রচার বা ষড়যন্ত্রের কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে। আমরা শক্তিশালী মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগ কমিটি চাই। সকল নেতৃবৃন্দের কাছে আবারো দাবি করি, জুয়েলকে পুনরায় দায়িত্ব দেয়া হোক।
এ সময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক সহ-সভাপতি শিব্বির আহম্মেদ, মানিক শেখ, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ রফিকুল ইসলাম জয়, সাবেক দপ্তর সম্পাদক মোঃ ইমরানুর রশিদ, সাবেক সহ-দপ্তর সম্পাদক রাকিবুল হাসান রেসিব, সাবেক সহ-প্রচার সম্পাদক উজ্জল চন্দ্র দে, সাবেক সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক সজীব মোল্লা, সাবেক সমাজ কল্যাণ সম্পাদক এ আলম রাসেল, সাবেক ত্রাণ ও দূযোর্গ বিষয়ক সম্পাদক নাজমুল হোসেন, সাবেক শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক এমি আহম্মেদ, সাবেক মহিলা বিষয়ক সম্পাদক সাদিয়া সুলতানা শান্তা, নাজমা আক্তার। কার্যকরি সদস্য সাবেক জসিম খন্দকার, সুভাষ সাহা, রাকিবুল ইসলাম সুমন, নাদিম শেখ, আফসার, লিটন সাহা, আমির, শাওন, মোখলেসুর রহমান, দীপ্ত, আশিক রেজা শশি, রনি আহম্মেদ, রিপন, শিপন সাগর, শাকিল, নোমান আহম্মেদ, অর্ক, মহসিন, আল আমিন, সম্রাট, মুজাহিত, কবির মৃধা, সুমন ভুইয়া, মোঃ ফাহাদুজ্জামান পাপ্পু, রাকিবুল হাসান, সোহাগ, মহিউদ্দিন আক্তার, সোহেল, আব্দুল্লাহ আল মামুন, মোঃ কবির হোসেন শেখ, মোঃ রাসেল, মোঃ মুরাদ, মোঃ মিজান, মোঃ স্বপন, নোমান আহাম্মেদ, কাশেম, জাহিদ, আসলাম প্রমুখ।
দুপুরে দেড়টায় সিদ্ধিরগঞ্জের মহানগর স্বেচ্চাসেবক লীগের উদ্যোগে আলোচনা সভা, কেক কাটা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।