মুসলিম নগরে হত্যাকান্ডে জড়িত ২জন গ্রেফতার
প্রেসবাংলা ২৪.কম: নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার মুসলিম নগরে চাঞ্চল্যকর ইজিবাইক চালক হত্যাকাণ্ডে জড়িত ২ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো আব্দুল মজিদ ও মজজেম হোসেন। তারা সম্পর্কে চাচা-ভাতিজা। রোববার (১৭ অক্টোবর) রাতে নাটোর জেলা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তবে এ হত্যায় জড়িত হাসান নামে আরও একজন পলাতক রয়েছে।
এ তিনজন নাটোর থেকে এসে পরকীয়া প্রেমিক সন্দেহে ইজিবাইক চালক সুজন ফকিরকে খুন করে বলে র্যাব প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে। র্যাব-১১ দেড় দিনের মধ্যেই এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন করতে সক্ষম হলো।
সোমবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজীতে র্যাব-১১ কার্যালয়ে এ বিষয়ে প্রেস ব্রিফিং করেন লে. কর্ণেল তানভীর মাহমুদ পাশা। তিনি জানান, শনিবার সকালে ফতুল্লার মুসলিমনগর এলাকার নয়াবাজার এলাকায় ইজিবাইক চালক সুজন ফকির খুন হন। এ ঘটনার পর র্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করে। পরে গত রোববার রাতে নাটোর জেলা থেকে এ হত্যায় জড়িত সন্দেহে চাচা-ভাতিজা যথাক্রমে আব্দুল মজিদ ও মজজেম হোসেনকে আটক করে।
র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, আব্দুল মজিদের স্ত্রীর সাথে নিহত সুজন ফকিররের বিবাহ বহির্ভুত সম্পর্ক ছিল। এ কারণে সম্প্রতি মজিদ ও তার স্ত্রীর মধ্যে দাম্পত্য সম্পর্কের অবনতি ঘটে।
এর ধারাবাহিকতায় গত ৫ অক্টোবর মজিদের স্ত্রী কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুজির পর স্ত্রীকে না পেয়ে আব্দুল মজিদের মনে সন্দেহ হয় যে, তার স্ত্রী সুজন ফকিরের হেফাজতে রয়েছে। তখন থেকেই সে তার ভাতিজা মজজেম হোসেনকে নিয়ে সুজন ফকিরকে হত্যার পরিকল্পনা করে। হত্যাকান্ডের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আব্দুল মজিদ তার ভাতিজা মজজেম হোসেনকে নারায়ণগঞ্জ যাওয়ার কথা বলে। মজজেম নাটোর থেকে নারায়ণগঞ্জ যাওয়ার সময় তার খালাতো ভাই মো. হাসানকে সঙ্গে নিয়ে হত্যাকান্ডের আগের রাতে নারায়গঞ্জে আসে। মজিদের পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা ঘটনার দিন সকালে সুজন ফকিরের বর্তমান ঠিকানায় যায়। ঘটনার দিন সকালে আব্দুল মজিদ মোবাইল ফোনে ভিকটিম সুজনকে মজজেম এর সাথে দেখা করতে বলে। ভিকটিম সুজন ফকির মজজেম এর সাথে দেখা করতে আসলে মজজেম কথা আছে বলে ইজিবাইকযোগে অন্যত্র রওনা দেয়। যাওয়ার পথে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মুসলিমগর নয়াবাজার এলাকায় চলন্ত ইজিবাইকের পেছনের সিটে বসা মজজেম সামনে বসা সুজন ফকিরের গলায় পেছন থেকে উপর্যপুরি ছুরিকাঘাত করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
তানভীর মাহমুদ পাশা আরও জানান, এ হত্যাকান্ডে অংশগ্রহণকারী অপর সদস্য হাসান গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপন করে আছে। তাকে গ্রেপ্তারে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত রয়েছে।