রূপগঞ্জে অগ্নিকান্ডে কেড়ে নিলো ৫২ প্রাণ
প্রেসবাংলা ২৪.কম: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সজীব গ্রুপের হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের সেজান জুসের কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে কেড়ে নিয়েছে ৫৩টি প্রাণ। রূপগঞ্জের এ ট্র্যাজেডি কারখানা কর্তৃপক্ষের দায়িত্বহীনতা কারণেই ঘটেছে বলে অভিযোগ শ্রমিক ও নিহতদের স্বজনদের। যদিও অগ্নিকান্ড তদন্তে জেলা প্রশাসন থেকে সাত সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) বিকেলে অগ্নিকান্ডের পর রাতে তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেলেও প্রায় ২২ ঘণ্টা পর শুক্রবার (৯ জুলাই) দুপুরে ওই ধ্বংস্তপ থেকে বাকী মরদেহ উদ্ধারের তথ্য জানায় ফায়ার সার্ভিস। এসব মরদেহ এখন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। শনাক্ত করে মরদেহগুলো স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) বিকেল পৌনে ৬টার দিকে কারখানার ছয়তলা ভবনটির নিচতলায় অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তেই আগুন ভবনের অন্যান্য তলায় ছড়িয়ে পরে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ফায়ার সার্ভিস। আগুন নিয়ন্ত্রণে একে একে ১৮টি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। তবে এর মধ্যেই আতঙ্কে বিভিন্ন তলা থেকে লাফিয়ে পড়েন শ্রমিকরা।
রাত ৮টার দিকে ওই অগ্নিকান্ডে দুজনের মৃত্যু ও অর্ধশত শ্রমিকের আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়।
পরদিন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স নারায়ণগঞ্জ অফিসের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফীন দুপুর দেড়টার দিকে ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের বলেন, ‘পাঁচ অ্যাম্বুলেন্সে করে আমরা ৪৯ জনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠিয়েছি, ময়নাতন্দের জন্য।
নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শামীম বেপারী বলেন, মরদেহগুলো এমনভাবে পুড়ে গেছে যে পরিচয় শনাক্তের জন্য ডিএনএ পরীক্ষা করতে হবে। আমাদের পক্ষ থেকে স্বজনদের ডিএনএ নমুনা দেয়ার জন্য ঢাকা মেডিকেলের মর্গে আসতে বলা হয়েছে।
তিনি জানান, এ ঘটনায় সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে। আগামী সাত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে কমিটিকে।
শামীম বেপারী বলেন, অগ্নিকন্ডের কারণ, ক্ষয়ক্ষতি এবং এতে কারও দায় ছিল কি-না, এসব বিষয় দেখা হবে। এছাড়া জেলা প্রশাসন থেকে নিহত ব্যক্তির পরিবারকে ৩০ হাজার টাকা এবং আহত ব্যক্তিদের ১০ হাজার টাকা করে সহায়তা দেয়া হবে।