নারীর মামলায় খোরশেদ সহ দুইজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট
প্রেসবাংলা ২৪.কম: নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও মহানগর যুবদলের সভাপতি মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদসহ দুইজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। এর আগে সাঈদা আক্তার ওরফে সায়েদা শিউলি নামের এক ব্যবসায়ী গত ১৬ মে রাতে ফতুল্লা থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ফেরদৌসি আক্তার মোসকান নামের আরেক নারীকে আসামি করা হয়। সায়েদা শিউলি কাউন্সিলর খোরশেদের স্ত্রী হিসাবে দাবি করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা ফতুল্লা থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) তরিকুল ইসলাম। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্তে) তরিকুল ইসলাম জানান, কাউন্সিলর খোরশেদ ও ফেরদৌসি আক্তার মোসকানের বিরুদ্ধে একাধিক আলামতসহ আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে।
মামলায় উলেখ্য করা হয়, মামলার বাদী সায়েদা শিউলি নারায়ণগঞ্জ-মুন্সিগঞ্জ সিএনজি ওনার্স অ্যাসোসিয়ানের সভাপতি এবং গার্মেন্টস ব্যবসায়ী। ব্যবসার কাজে প্রায়ই তাকে দেশের বাইরে অবস্থান করতে হয়। বিবাদী খোরশেদের সঙ্গে তার পরিচয় ছোটবেলা থেকে। আগে তার একটি বিয়ে হয়েছিল। স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় তাদের মধ্যে ডিভোর্স হয়। সে ঘরে সন্তানও রয়েছে। পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে খোরশেদ এবং বাদী ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ করতেন। এক পর্যায়ে খোরশেদ তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। ২০২০ সালের আগস্ট মাসের ২ তারিখে কাঁচপুর এসএস ফিলিং স্টেশনে কাউন্সিলর খোরশেদ নিজেই কাজী নিয়ে গিয়ে পাঁচ লাখ টাকা দেন মোহরে তাকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তিনি এবং খোরশেদ বিভিন্ন স্থানে একসঙ্গে রাত্রিযাপন করেন। পরবর্তীসময়ে বিষয়টি জানাজানি হলে খোরশেদ তার সঙ্গে সর্ম্পূন্নরূপে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। এ অবস্থায় সে ব্যবসায়িক কাজে দুবাই চলে গেলে চলতি বছরের ২৪ এপ্রিল খোরশেদ ফেসবুক লাইভে এসে তার বিরুদ্ধে আপত্তিকর, মানহানিকর তথ্য উপস্থাপন করেন এবং নানা বাজে মন্তব্য করে কুৎসা রটান।
পরদিন ২৫ এপ্রিল ফেরদৌস আক্তার রেহানা ওরফে রেহানা মুসকান নামে এক নারী খোরশেদ খন্দকারের বাসায় বসে লাইভে এসে তার সম্পর্কে বাজে মন্তব্য করেন।
আদালতে চার্জশিট প্রদান করায় খুশি জানিয়ে মামলার বাদী সায়েদা শিউলি জানান, এখন আসামীদের গ্রেফতার করে বিচার শুরু করা এবং উপযুক্ত রায় যেন দেয়া হয়।