লকডাউনে বিপাকে কর্মজীবীরা
প্রেসবাংলা ২৪.কম: ৩০ টাকার ভাড়া ৫০ টাকা কেনো দিবো? গাড়ি যে পাইছেন, এইটাই শুক্রিয়া করেন। গেলে উঠেন না গেলে নাই। চাষাড়া থেকে কিছুটা এগিয়ে একটি গলির ভিতরে সিএনজি চালকের সঙ্গে ভাড়া নিয়ে এভাবেই তর্ক করছেন চাকুরীজীবী নাজিম। রাজধানীর ফকিরাপুলে একটি আইটি ফার্মে চাকুরী করেন তিনি। সরকার ঘোষিত ৭ জেলায় কঠোর লকডাউনের বিধি-নিষেধে অফিসে যেতে বিপাকে পড়েছেন তিনি। সড়কে প্রশাসনের চোখ ফাকি দিয়ে দিগুন ভাড়া গুনে অফিস করতে হচ্ছে তার। সময় মতো অফিসে না পৌছালেও চাকুরী হারাবার ভয় থাকে বলে জানালেন তিনি।
শুধু তিনিই নয়, লকডাউনে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকায় পোশাক শ্রমিক ও চাকরিজীবী মানুষ পড়েছেন বিপাকে। লকডাউনের দ্বিতীয় দিন বুধবার সকালে অফিসগামী মানুষদের দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে দেখা গেছে নগরীর বিভিন্ন স্থানে।
গণপরিবহন বন্ধ থাকায় রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও রাইড শেয়ারিং মোটরসাইকেলে বিভিন্ন উপায়ে গন্তব্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন তারা। তবে ভাড়া গুনতে হচ্ছে অনেক বেশি।
নিষেধাজ্ঞার দ্বিতীয় দিনে রাস্তায় চলাচল করছে এমন বেশির ভাগ সিএনজিতেই যাত্রী আছে। খালি সিনএনজি আসলেই তড়িঘড়ি করে অপেক্ষারত যাত্রীরা সেটা আগে ভাড়া করতে চাইছেন। তবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
অফিসগামী এসব যাত্রীদের ভাষ্য, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার ৭জেলায় লকডাউন ঘোষণা করেছে। কিন্তু অফিস, বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান বন্ধ করেনি। এ কারণে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাদের।