ইস্যু একটি জাতীয় সমস্যা!
প্রেসবাংলা২৪.কম: আমরা যখনই কোনো একটা বিষয় পাই তা সম্পর্কে কিছু না কিছু না লিখলে হবে না আমাদের। আদৌও কি আমরা বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানি কিংবা নাই জানি সমাজের একজন সুশীল নাগরিক হিসেবে মন্তব্য করা যেন আমাদের নাগরিক অধিকার হয়ে দাড়িয়েছে।
কেন তোমার-আমার এতো মাথাব্যথা, কেন বা ঘটনার সত্যতা না জেনে তোমাকে বলতে হবে অমুক ব্যক্তি, দল, গোষ্ঠী, জাতি, ধর্ম, বর্ণ ইত্যাদি খারাপ – ভালো, দালাল,রাজাকার দেশদ্রোহী, নাস্তিক কিংবা শয়তান নানা রকম উপাধি দাও তুমি। আমি-তুমি-সে, ছাড়াও দেশে অনেক বুদ্ধিজীবী এবং পেশাজীবি সংগঠন তো আছে বটে। তবুও বুঝি না কেন আমাদের এতো সমস্যা সৃস্টি হয় এসব স্পর্শ কাতর ইস্যু নিয়ে। যে দেশের অধিকাংশ ক্ষেত্রে এখনো আইনের প্রতি সম্মান দেখানো হয় বটেই কিন্তু আইনের প্রয়োগ করা যায় না কিছু কীটপতঙ্গের জন্য। যদিও এখনো কীটপতঙ্গ গুলো সমাজে মানুষরূপে বসবাস করে যাচ্ছে। ইনশাল্লাহ একদিন হয়তো আবারও নূরুল দিন কিংবা নজরুলের মতো আগুনের ঝান্ডা নিয়ে আসবে এবং সমাজের প্রতিটি স্তরেরকে আর্বজনা মুক্ত করবে অগ্নিদাহ মাধ্যমে।
আমাদের সমাজে কতিপয় কিছু শ্রেনি রয়েছে যারা কিনা খুবই আবেগপ্রবণ, সামান্য একটা বিষয় নিয়ে যারা তুমুল কান্ড-কারখানা করে বসবে। এখনতো এসব ব্যক্তি – বর্গের জন্য আরও সহজ মাধ্যম আছে সমালোচনা কিংবা কটুক্তি করার জন্য। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে ধর্ম কিংবা কিছু স্পর্শ কাতর ইস্যু নিয়ে প্রতিনিয়ত লেখালেখি এবং ছবি আপ দিয়ে প্রতিবাদী আন্দোলন চালিয়ে যায়, যা দেখে সমাজের কৌতূহল প্রিয় মানুষগুলো সঙ্গে সঙ্গে তা লাইক, কমেন্ট, শেয়ার করে বীরত্ব প্রকাশ করে। তবে আজও মোটেও তারা ঘটনার সত্যতা যাচাই-বাছাই করতে রাজি নয়। কবে জাগ্রত হবে তাদের মনুষ্যত্ব, বুদ্ধির বিকাশ ঘটবে না বুঝি এই সমস্ত লোকদের।
যেখানে একজন সাধারণ শিক্ষার্থীদের ২০ – ২২ বছর সময় লাগে পড়াশোনার পিছনে, চাকরি নিয়ে ক্যারিয়ার গড়তে কমপক্ষে ২৮ বছর পার করে দিতে হয় সেখানে আমরা অযথা দেশের ইস্যু নিয়ে পড়ে থাকি অবিরাম। একটা সময় গেলে আমাদের স্বাভাবিক বিবেক-বুদ্ধি এবং জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি পেয়ে তা মানসিক শক্তিতে পরিনত হয়। তখনই আমাদের সমাজ, দেশ, রাষ্ট্র পুরো পৃথিবী নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে এবং যতই ইস্যু আসুক না কেন সব ইস্যু কে মোকাবেলা করে সামনে অগ্রসর হতে হবে।
ইস্যু একটি জাতীয় সমস্যা নয় বরং সেটা বৈশ্বিক রাজনীতির কৌশলগত একটা দিক যাকে পুঁজিকরে সাম্রাজ্যেবাদরা পৃথিবীর বুকে তাদের অশুভ শক্তিকে জাগিয়ে তুলতে চাই। সমাজ কিংবা রাষ্ট্র নয় বটে একজন নাগরিকের কর্তব্য হওয়া উচিত দেশ,জাতি,ধর্ম, নিয়ে দাঙ্গা না করে কোনো ঘোলাটে পরিবেশ সৃষ্টি না করে বরং নিজ অধিকার আদায়ের দাবিতে অবিচল থাকা। দেশে মানুষ আছে বলে তো ইস্যু থাকবে বটে, তবে আমাদের সব ইস্যু নিয়ে অযাচিত অশোভন মন্তব্যে এবং করুচিপূর্ণ আচরণ করলে হবে না বিচক্ষণতা সাথে সমস্ত প্রতিকূলতাকে জয় করতে হবে।
শিক্ষার্থী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।