জমজ বাছুর জন্ম দেয়ার প্রযুক্তিতে সাফল্যের দাবি বাংলাদেশের

জমজ বাছুর জন্ম দেয়ার প্রযুক্তিতে সাফল্যের দাবি বাংলাদেশের

প্রতিবেদক, প্রেসবাংলা২৪.কম: একটি গাভী থেকে বছরে একটির জায়গায় দুটি বাছুর জন্ম দেয়ার প্রযুক্তিতে সাফল্যের দাবি করেছেন বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা।

 

প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. গৌতম কুমার দেব সংবাদমাধ্যমকে জানান, এ প্রযুক্তি বাংলাদেশে নতুন। তিনি বলেন, প্রাথমিক সাফল্যের পর আমরা এটি মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়নের জন্য কাজ করছি। সফল হলে এটি নিঃসন্দেহে দেশের গরু সম্পদের ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলবে।

গত বছরের শুরুর দিকে খবর প্রকাশ হয়েছিল যে, গবাদিপশুর বৈশ্বিক সুচকে বাংলাদেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ। তবে গরু, মহিষ, ভেড়া ও ছাগল-সব মিলিয়ে গবাদিপশু উৎপাদন বাংলাদেশ তখন বিশ্বে ১২তম অবস্থানে ছিল।

বাংলাদেশের জাতীয় জ্ঞানকোষ বাংলাপিডিয়ার তথ্যমতে, দেশে গরুর সংখ্যা প্রায় আড়াই কোটি।

বিজ্ঞানীদের প্রত্যাশা, দেশে ভালো মানের গাভীর দুটি করে বাচ্চার প্রকল্প মাঠপর্যায়ে সফল হলে সেটি গবাদিপশু এবং এর মাধ্যমে গণমানুষের জীবনমানের আরও উন্নতি করা সম্ভব হবে।

ড. গৌতম কুমার বলেন, প্রযুক্তিটির নাম ইনভিট্রো অ্যামব্রায়ো প্রডাকশন বা আইভিপি। তবে এটিকে কেউ কেউ আইভিএ-ও বলে থাকেন।

নতুন এই প্রযুক্তি সম্পর্কে তিনি জানান, এতে বেশি দুধ দেয় এমন গাভী থেকে ডিম্বাণু সংগ্রহ করে ল্যাবরেটরিতে নেয়া হয়। সেখানে ডিম্বাণুকে পরিপক্ব করে ফার্টিলাইজ করানো হয়। এর ফলে যে ভ্রূণের জন্ম হয় গবেষণাগারে সেখান থেকে দুটি করে ভ্রূণ ধাত্রী গাভীতে সংস্থাপন করা হয়। এরপর ওই গাভীটি গর্ভধারণ করলেই দুটি করে বাচ্চা বাড়তে থাকবে।

বাংলাদেশে গবাদিপশুর কৃত্রিম প্রজনন আগেও ছিল। এসব কাজে সহায়তার জন্য দেশের প্রতি উপজেলায় একজন করে পশু চিকিৎসক নিয়োগ দিয়েছে সরকার। কিন্তু সে পদ্ধতিতে একটি গাভী থেকে একটি বাছুরই পাওয়া সম্ভব হয়।

 

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com