এবার ছাত্রলীগ নেতা তোফার মাদক সেবনের ছবি ভাইরাল !

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি, প্রেসবাংলা২৪.কম: মাদকের বিরুদ্ধে যখন জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে বর্তমান সরকার। সরকারে এই নীতিতে পানি ঢেলে খোদ সরকারি দলের সংগঠনের নেতারাই মাদক ব্যবসা এবং মাদক সেবনের সাথে জড়িত । এই কারনে সরকার বারবার সমালোচনার মুখে পড়ছে। ম্লান হচ্ছে সরকারের ভালো কাজগুলো। দুই সপ্তাহ আগে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের এক সাংগঠনিক সম্পাদকের মাদক সেবনের ছবি গণমাধ্যমে প্রকাশের পর এবার আরও এক ছাত্রলীগ নেতার মাদক সেবনের ছবি ছড়িয়েছে সর্বত্র।
এবার সমালোচনায় মহানগর ছাত্রলীগের ‘অর্থ বিষয়ক সম্পাদক’ মির্জা তোফা আহমেদ। তোফার ওই ছবিতে দেখা যাচ্ছে একটি ঘরের বিছানায় বসে মরণ নেশা ইয়াবা সেবনরত। তবে, ছবির বিষয়ে এ নেতার বক্তব্য হলো ‘সব মিথ্যা’।
ছাত্রলীগের পদধারী নেতার মাদক সেবনের ছবিতে বিব্রতবোধ করেন খোদ নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগ-ছাত্রলীগের নেতারা।
এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন প্রেসবাংলাকে জানান, কোন ব্যাক্তির অপরাধের দায়ভার সংগঠন নিবেনা। সংগঠন কাউকে মাদকসেবন বা খারাপ কিছু শিখায় না। সেই ক্ষেত্রে ব্যাক্তির অপরাধ তাকেই বহন করতে হবে যদিও এতে ছাত্রলীগের সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে।
ছাত্রলীগ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ফতুল্লা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের রেল লাইনের পাশের এলাকার বাসিন্দা মির্জা তোফা আহমেদ। কয়েক বছর আগে তোলারাম কলেজে ভর্তি হন। সখ্যতা তৈরি করেন মহানগর ছাত্রলীগের এক শীর্ষ নেতার সাথে। অর্জন করেন সেই নেতার আস্থাও। ২০১৯ সালের ২৮ জুলাই মহানগর ছাত্রলীগের কমিটিতে অর্থ সম্পাদক পদটি ভাগিয়ে নেন এ তোফা। এরপর আর পিছনে তাকাতে হয়নি। অভিযোগ রয়েছে, কলেজ ক্যাম্পাসের আশেপাশে মাদক বিক্রি ও চাষাঢ়া প্লাট ফর্মে ছিনতাইকারীদের মদদ দেওয়ার।
এ ব্যাপারে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা বলেন, ‘মাদক সেবন করে থাকলে জগণ্য অপরাধ। তবে, বিষয়টি নিয়ে ভালো করে যাচাই করা উচিত।’
অপরদিকে, মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাসনাত রহমান বিন্দু বলেন, বঙ্গবন্ধুর নিজ হাতে গড়া সংগঠন হচ্ছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। তার নীতি ও আদর্শের উপরে বর্তমানেও ছাত্রলীগ পরিচালিত হয়। যদি কারো কর্মকান্ডে সংগঠন বিতর্কিত হয়, তাহলে সাংগঠনিক ভাবে যতটুকু ব্যবস্থা নেওয়ার, তা যতদ্রুত সম্ভব ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারো ব্যক্তি দায় সংগঠন নিবে না। এসব কর্মকান্ড আমাদের জন্য বিব্রতকর।
মাদক সেবন ও বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে ছাত্রলীগ নেতা মির্জা তোফা আহমেদ জানান, এ গুলো সব মিথ্যা। আমি এ গুলোর সাথে আমি জড়িত না। ছবিতে দেখা যাচ্ছে আপনি মাদক সেবন করছেন, এমন প্রশ্নের উত্তরে ‘মন্তব্য নেই’ বলেই ফোন কেটে দেন।
এ ব্যাপারে ফতুল্লা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসলাম হোসেন জানান, মির্জা তোফা আহমেদের বিরুদ্ধে পূর্বে আমার কাছে অভিযোগ ছিল না। সে যদি মাদকের সাথে জড়িত হয়, তাহলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, গত ৮ অক্টোবর জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক’র একটি ইয়াবা সেবনের ছবি প্রকাশে ব্যাপক সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছিল।