আড়াইহাজারে ২ সন্তানের জননীকে ৬জনে মিলে গণধর্ষণ,গ্রেফতার ১

আড়াইহাজার প্রতিনিধি, প্রেসবাংলা২৪.কম: নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে ২সন্তানের জননী এক নারী শ্রমিককে বাজার থেকে ধরে নিয়ে ৬জন মালাক্রমে গণধর্ষণ করেছে। পুলিশ ধর্ষণের অভিযোগে এক ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে গত ৭অক্টোবর রাত সাড়ে ৭টার দিকে আড়াইহাজার উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের নৈকাহন এলাকায়।
ধর্ষিতার অভিযোগ থেকে জানাযায়, গত ৭অক্টোবর রাত সাড়ে ৭টার দিকে নাতির ঔষধ ক্রয় করার জন্য সে নৈকাহন বাজারে যায়। ঐ সময় বাজারের অনিসের মার্কেটের সামনে আসলে নৈকাহন আখড়পাড়া এলাকার মৃত বছিরউদ্দিনের ছেলে আলী আকবর(৫০) তাকে জোর করে এ মার্কেটের একটি মাছের দোকানে নিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। ঘটনার পর ধর্ষক আলী আকবর চলে গেলে মার্কেটের সামনে দাড়িয়ে থাকা নৈকাহন আখড়পাড়া এলাকার মৃত আঃ মালেকেরে ছেলে মোস্তফা(৫৫),মৃত রহমত আলীর ছেলে আনারুল(৪০) ও নৈকাহন এলাকার ডাঃ মিয়া হোসেনের ছেলে লিটন(৩২) তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনা জানতে চায়। ধর্ষিতা ধর্ষণের ঘটনা তাদেরকে জানালে তারা এ ঘটনার বিচার করবে বলে ধর্ষিতাকে তাদের সাথে যেতে বলে। রাত সাড়ে ৮টার দিকে তারা ধর্ষিতাকে লিটনের পুকুরপাড় নিয়ে গিয়ে সেখানে ৩জন মিলে পালাক্রমে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। ঐ সময় ধর্ষক লিটন তার মোবাইল ফোনে নৈকাহন এলাকার লস্কর আলীর ছেলে শাহীন(৩২) ও খোকা মিয়ার ছেলে তরিকুল ইসলাম(৩৫) কে ডেকে এনে ধর্ষিতাকে তাদের হাতে ছেড়ে দেয়। একই রাত সাড়ে ১০টার দিকে শাহিন ও তরিকুল ইসলাম ধর্ষিতাকে জোর করে নৈকাহন এলাকার আলী হোসেনের নির্মানাধীন দালানের ছাদে নিয়ে যায় এবং সেখানে ২জন মিলে তৃতীয়বার পালাক্রমে ধর্ষণ করে ঐ নারীকে। পরে ধর্ষিতাাকে সেখানে ফেলে সকল ধর্ষণকারীরা চলে যায়।
স্থানীয় লোকজন জানান, এ ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয় প্রভাবশালী একটি মহল ধর্ষিতা ও তার ভাই ছমুকে ভয়ভীতি দেখাইয়া স্থানীয়ভাবে আপোষ করে দেওয়ার কথা বলে সময় ক্ষেপন করে। ঘটনাটি স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা জেনে যাওয়ার পর ধর্ষিতার পরিবারের সাথে যোগাযোগ হলে ধর্ষিতা নিজে বাদী হয়ে ১৫ অক্টোবর বৃহস্পতিবার আড়াইহাজার থানায় ৬জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। পরে পুলিশ মামলার প্রধান আসামী আলী আকবর(৫০)কে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করেছে।
আড়াইহাজার থানার ওসি নজরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান,অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে ধর্ষণের সাথে জড়িত প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করা হয় এবং অন্য আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান অব্যহত রেখেছে।