সাভারে নীলা রায় হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে বিভিন্ন সংগঠন
তপু ঘোষাল, সাভার প্রতিনিধি, প্রেসবাংলা২৪.কম: রাজধানীর সন্নিকটে সাভারে স্কুল শিক্ষার্থী নীলা রায় হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ও খুনি মিজানের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল বাসদ সাভার উপজেলা শাখা।
২৫ সেপ্টেম্বর সকাল ১০:৩০ টায় সাভার রানা প্লাজা স্মৃতি স্তম্ভের সামনে উপজেলা শাখার আহ্বায়ক কমরেড সৌমিত্র কুমার দাসের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আহমেদ জীবন এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বাসদ ঢাকা নগর শাখার সদস্য কমরেড খালেকুজ্জামান লিপন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক শোভন রহমান, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট আশুলিয়া থানার সভাপতি মাফিজুল ইসলাম।
বক্তারা বলেন, “আজ ক্ষমতার সাথে জড়িত ব্যক্তিরা নিজেদের অপকর্ম চরিতার্থ করার জন্য এই বখাটে কিশোরগ্যাং উৎপাদন করে ও লালন পালন করে, গ্যাং কালচারকে জারি রাখে। আজ সমাজে সুস্থ সাংস্কৃতিক রাজনৈতিক চর্চা নেই, সেই চর্চা গড়ে তোলার আন্দোলন ব্যতীত এই খুন ধর্ষণ, চাঁদাবাজি গুন্ডামির হাত থেকে আমাদের নিস্তার নেই। আমরা সাভারবাসীর প্রতি সেই আন্দোলন সংগঠিত করার আহ্বান জানাই। এবং এই গ্যাং কালচারের পৃষ্টপোষক ও নির্দেশদাতাদেরকেও বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাই। এই সমাবেশ থেকে আমরা খুনি মিজানকে গ্রেফতার করতে এক সপ্তাহের আল্টিমেটাম বেঁধে দিলাম। এক সপ্তাহের মধ্যে গ্রেফতার না করলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলবো।”
অন্যদিকে সাভার প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয় হিন্দু ছাত্র ও যুব মহাজোট সাভার উপজেলা শাখার উদ্যোগে নীলা রায় হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
মানববন্ধনে অংশগ্রহনকারীরা দ্রুত নীলা রায়ের খুনি মিজান ও তার সহযোগীদের গ্রেফতারের দাবী জানান অন্যথায় আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর দেশের সব জেলায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনসহ বৃহত্তর আন্দোলনে যাওয়ার হুশিয়ারি দেন।
মানববন্ধনে হিন্দু ছাত্র জোটের সভাপতি সজীব বৈদ্য, হিন্দু যুব মহাজোটের সভাপতি প্রদীপ কান্তি দেসহ বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু ছাত্র ও যুব মহাজোট ও সাভার উপজেলা হিন্দু ছাত্র জোটের অন্যান্য সদস্যরা অংশ নেয়।
গত ২০ সেপ্টেম্বর রাতে নিলা রায়কে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে মিজানুর চৌধুরী। পরে নিহতের বাবা নারায়ন রায় বাদি হয়ে মিজানুরকে প্রধান আসামি করে এবং তার বাবা আব্দুর রহমান ও মা নাজমুন্নাহারের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় প্রধান আসামী মিজানের বাবা-মা এবং এক সহযোগী সেলিম পালোয়ান ইতোমধ্যে গ্রেফতার হলেও এখনও পলাতক রয়েছে মিজান।