করোনা প্রতিরোধে সরকার দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে -সিপিবি

করোনা প্রতিরোধে সরকার দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে -সিপিবি

ফতুল্লা প্রতিনিধি, প্রেসবাংলা২৪.কম: করোনা মহামারী প্রতিরোধের লক্ষ্যে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি সিপিবি দেশব্যাপী প্রতিটি জেলা উপজেলায় ১০ আগস্ট থেকে সচেতনতা ও প্রতিরোধ কর্মসূচী অব্যাহত রেখেছে। কেন্দ্রীয় এই কর্মসূচীর অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জ জেলার প্রতিটি উপজেলাতে কর্মসূচী অব্যাহত রয়েছে।

২৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকাল ৪টায় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি সিপিবি ফতুল্লা থানা কমিটির উদ্যোগে ফতুল্লার ইসদাইর বাজার থেকে পদযাত্রা শুরু হয়ে বুড়ির দোকান, উপজেলা পরিষদ হয়ে শিবু মার্কেটে এসে শেষ হয়।

“সচেতন হও, করোনা ঠেকাও, মানুষ বাঁচাও” এই স্লোগানকে সামনে রেখে পথে পথে মিছিল, মাস্ক বিতরন, প্রচারপত্র বিলি ও ৭টি গনজমায়েত অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সিপিবি ফতুল্লা থানা কমিটির সভাপতি কমরেড রঞ্জিত কুমার দাস।

বক্তব্য রাখেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি কমরেড হাফিজুল ইসলাম, জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য কমরেড বিমল কান্তি দাস, জেলা কমিটির সদস্য কমরেড দুলাল সাহা, ফতুল্লা থানা কমিটির সাধারন সম্পাদক কমরেড ইকবাল হোসেন, বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শিশির চক্রবর্তী, জেলা কমিটির সদস্য সজিব শরীফ, গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের জেলা সভাপতি এম.এ শাহীন, আলমগীর হোসেন, জালাল আহম্মেদ প্রমুখ।

নেতৃবৃন্দ বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে, আগামী শীত মৌসুমে নাকি বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতির আরও অবনতি হবে। গবেষক ও বিজ্ঞানীরা নাকি সেকথাই বলছেন। এসব কথা শুনে দেশবাসী চরম উদ্বিগ্ন। ইতিমধ্যে দেশের প্রতিটি গ্রামে করোনার সংক্রমন ছড়িয়ে পড়েছে। শ্রমজীবি মানুষের অর্থনৈতিক সংকটও ভয়াবহ আকার ধারন
করেছে। কিন্তু করোনা প্রতিরোধে রাষ্ট্রীয় কোন কার্যকর উদ্যোগ আমরা দেখিনা। সরকারের পক্ষ থেকে হার্ড ইমিউনিটির প্রচার করা হচ্ছে। আসলে ব্যক্তিগতভাবে করোনা প্রতিরোধ করা মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়, সরকার ও রাষ্ট্রের উদ্যোগেই প্রতিরোধ করা সম্ভব।

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, বিনামূল্যে ও সুলভে করোনা সুরক্ষা সামগ্রী সরবরাহ করতে হবে। জেলা উপজেলায় বিনামূল্যে করোনা পরীক্ষা করতে হবে এবং সময়মত রিপোর্ট দিতে হবে। করোনা রোগীদের জন্য উপযুক্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। কর্মহীন জনগোষ্ঠীর জন্য সরকারের পক্ষ থেকে খাদ্য ও নগদ টাকা দিতে হবে। চোর ও দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। কমিউনিটি ক্লিনিকসহ সকল চিকিৎসা কেন্দ্র, হাসপাতাল সচল করতে হবে। চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী ও পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের সুরক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। বেসরকারী ক্লিনিক ও হাসপাতালে বাড়তি টাকা নেয়া বন্ধ করতে হবে। সকল বেসরকারী ল্যাব ও হাসপাতালকে সরকারী নীতিমালার আওতায় আনতে হবে। স্বাস্থ্য সেবা জনগনের মৌলিক অধিকার। মানুষ বাঁচানোর দায়িত্ব সরকারের। রাষ্ট্রীয় খরচে মানুষ বাঁচানোর দায়িত্ব সরকারকে বহন করতে হবে। এই সরকার মানুষের জীবন ও জীবিকার নিশ্চয়তা দিতে ব্যর্থ। এই ব্যর্থ সরকার ও অকার্যকর লুটেরা ব্যবস্থা বদলের সংগ্রামে জনগনকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই।

 

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com