আওয়ামীলীগের জন্ম এই নারায়ণগঞ্জে: মেয়র আইভি
নগর প্রতিনিধি, প্রেসবাংলা২৪.কম: আপনারা বলেছেন আইভী এটা করো সেটা করো তাই আজ আমি এই জায়গায়। ‘বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী’ বইয়ে অনেক কিছুই উল্লেখ আছে। আমরা প্রায়ই বলি আওয়ামীলীগের জন্ম কোথায় হয়েছিলো বা ৬ দফা দাবি কোথায় শুরু হয়েছিলো। এগুলো, বঙ্গবন্ধু সিদ্ধিরগঞ্জ এসেছিলো এই গুলো ওই বইয়ে উল্লেখ করা আছে। আমার অনুরোধ থাকবে এই বই গুলো পড়ার জন্য। ২০০১ এর পর আমি যে কয়টি মটিংয়ে যোগ দিয়েছি সেখানে মোফিজ ভাই সব সময় বলতেন আওয়ামীলীগের জন্ম এই নারায়ণগঞ্জে।
১৪ সেপ্টেম্বর ( সোমবার ) নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের(এনসিসি) নগর ভবনে মুক্তিযোদ্ধাদের ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’বই প্রদানকালে এ কথা বলেন মেয়র আইভী।
মেয়র আরও বলেন, আওয়ামীলীগের জন্ম নারায়ণগঞ্জে এই নিয়েও অনেকে দ্বিমত করে। বায়তুল আমানে মিটিং হয়নি ঠিক কিন্তু জন্ম এখানেই হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের চেতনায় মোস্তফা সরোয়ারের ভুমিকা অনেক গুরুত্বপূর্ন ছিলো। নারায়ণগঞ্জে শিক্ষা পিছিয়ে ছিলো। তখন ছেলেদের লেখাপড়া করিয়ে নিজেদের ব্যবসার কাজে লাগিয়ে দিতো আর মেয়েদের বিয়ে দিয়ে দিতো । মেয়েদের বেশি লেখাপড়ার সুযোগ দেয়া হতো না। কিন্তু এখন কিন্তু আগের মতো নেই এখন শিক্ষার হার অনেক বেড়েছে। অনেক মেয়ে শিক্ষার জন্য আগ্রহ দেখাচ্ছে। আর আগের মতো অনেকের সেই জমিদারি ভাব নেই। আমার একটা দোকান বা আরদ আছে। আমার ছেলেদের এটাই করাবো। এই চিন্তা খুব কমে গেছে। মেয়েরা পড়াশোনা করলে আমার খুব ভালো করে। অনেক মা বাবা ভাবে, যে তার মেয়েকে দশম শ্রেনীর কোন ভাবে পাশ করিয়ে বিয়ে দিয়ে দিলেই দায় ভার শেষ। আমার মতে, মেয়েকে ছেলের মতো করে লালন করেন। তাহলে মেয়ে ছেলেদের মতো আপনার সংসারের হাল ধরতে না পারলেও একটা ছেলের মতোই আপনাকে সাহায্য করবে।
বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী বই মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে বিতরণকালে মেয়র বলেন, আমরা চাই আগামী ১০ বছরে নারায়গঞ্জ থেকে একজন মন্ত্রী থাকবে। আমাদের স্বপ্ন থাকতে হবে, তাহলেই হবে। যার স্বপ্ন নেই সে এগোতে পারবে না। আমি চাইলেই অন্য দেশে যাতে পারতাম। আমি যাই নাই কারন আমার বাবা যেখানে থাকবে সেখানে আমিও থাকবো। এই শহর আমার, আমি এই শহর ছেড়ে কেন যাবো। আমি উন্নত বিশ্বে থাকতে পারতাম, কিন্ত আমি এই শহরে আসছি আমার স্বামী এবং ছেলে-মেয়েকে নিয়ে।
কখনো পিছনের দিকে তাকানো যাবে না তাহলে সামনে আগানো যাবে না। নিজের উপর আত্মবিশ্বাস রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে, আমি ভালো আমি যা করছি তা ঠিক। আমি পড়ার জন্য রাশিয়া জাওয়ার স্করারশিপ পাই। সে সময় আমার পরিবারের কেউ চায় নি আমি বিদেশে যাই। আমি মাকে বলে ছিলাম। মা আমার সাথে ছিলেন, তারপর ঢাকার কথা বলে পালিয়ে রাশিয়া চলে যাই। আমার মধ্যে আত্মবিশ্বাস ছিলো তাই পেরেছি। আমাদের এই বিষয়গুলোকে উৎসাহ দিতে হবে। আমি উৎসাহ দিলে সমাজের আর ৫ জন মানুষ উৎসাহ পাবে।
অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের পক্ষে সাংবাদিক শরীফ উদ্দিন সবুজ, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বক্তব্য রাখেন।
সিদ্ধিরগঞ্জের হলি উইলস্ স্কুলের আয়োজনে দৈনিক সংবাদের চীফ রিপোর্টার সালাম জুবায়ের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের কমান্ডার শাহ্জাহান ভূইয়া জুলহাস, সিদ্ধিরগঞ্জের সফর আলী স্কুল এন্ড কলেজের চেয়ারম্যান জাকিয়া আলী ভূইয়া