সিদ্ধিরগঞ্জে প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুর: নেপথ্যে কাউন্সিলর রুহুল!
সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি, প্রেসবাংলা২৪ডটকম: নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর আয়শা আক্তার দিনার উপর ছাত্রলীগের হামলা ও ছাত্রলীগের কার্যালয় ভাংচুর নিয়ে ক্ষোভ উত্তেজনা উভয় শিবিরে। বিশ্বে যখন করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেয় তার প্রভাব আমাদের বাংলাদেশেও পরে। তাই মহামারী এই করোনা দূর্যোগের সময় অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন নাসিকের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর আয়শা আক্তার দিনা।
করোনা প্রার্দুভাবের শুরু থেকে নারী কাউন্সিলর নানা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। দিন-রাত তার কার্যক্রম ৭,৮ ও ৯নং ওয়ার্ডে সাধারণ মানুষের কাছে প্রশংসিত হয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করে কেন দিনার উপর হামলা? আবার রাতের আধারে ছাত্রলীগের কার্যালয়ে ঢুকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্থানীয় সাংসদ শামীম ওসমানের ছবি ভাংচুর নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। দুটি ঘটনা নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন আলোচনা ছড়াচ্ছে এলাকায়। হামলার জন্য দিনা নামধারী ছাত্রলীগকে দায়ী করে বলছেন তাকে ও তার স্বেচ্ছাসেবক টিমের সদস্যদের ফাঁসাতে ছাত্রলীগ নিজেরাই নিজেদের কার্যালয় ভাংচুর করেছে।
অন্যদিকে অফিসে ঢুকে ছবি ভাংচুরের জন্য ছাত্রলীগ কাউন্সিলর দিনা ও তার লোকজনকে দায়ী করেছেন।
এ ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় দু’পক্ষই পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দায়ের করেন।
এই ঘটনায় অভিযোগের তীর উঠে আসে এক জনপ্রতিনিধির দিকে। সেই জনপ্রতিনিধি নিজে তার ফেসবুক ওয়ালে ছাত্রলীগের পক্ষ নিয়ে সাফাই গাইতে দেখা যায়।
দিনা বলেন, এ ঘটনায় দূর থেকে নেপথ্যে কেউ একজন কলকাঠি নাড়ছেন। তিনি সুযোগ খুঁজছেন দীর্ঘদিন থেকে কিভাবে আমাকে ঘায়েল করা যায়।
কারণ করোনা পরিস্থিতিতে দিনার কার্যক্রম দিনাকে ব্যাপক জনপ্রিয় করে তুলেছে ওয়ার্ডের মানুষের কাছে। সবাই তাকে সাধুবাদ দিচ্ছে। কিন্তু নেপথ্যের তিনি এটা মেনে নিতে পারছেন না। এই নেপথ্যের খেলোয়াড় হিসেবে সাধারণ মানুষের সন্দেহের তীর ছুটে চলে ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লার দিকে। তার দিকে অঙ্গুলি তুলেছেন ওয়ার্ডের সচেতন নাগরিকরা। তারা বলছেন, কয়েক মাস আগে দিনা ও রুহুল আমিন মোল্লার মধ্যে সংঘাতময় পরিস্থিতি তৈরী হয়েছিল।
উল্লেখ্য, গত সোমবার (১৫ জুন) ওইদিন ছিল দিনার জন্মদিন। দিন শেষে রাত পৌনে ১১টার দিকে তার উপর নৃশংস হামলার ঘটনা ঘটে। কাউন্সিল দিনা অভিযোগ করেন, রাত সাড়ে ১০টা থেকে পৌনে ১১টার দিকে তিনি তাতখানা বউবাজার এলাকায় অবস্থিত কাউন্সিলর কার্যালয়ে তার স্বামীসহ স্বেচ্ছাসেবী টিম নিয়ে মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য ত্রাণ দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। হঠাৎ করে ছাত্রলীগ নামধারী রাকিব, তামিম, আলী, গণিসহ আরো প্রায় ২০ জন কাউন্সিলর কার্যালয়ে ঢুকে তাকে ও তার স্বামীসহ অন্যান্যদের মারধর করে তার মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। তিনি আরো অভিযোগ করেন, হামলাকারীরা তাকে তার পরিবারের সদস্যদের প্রকাশ্যে হত্যা করার হুমকি দিয়েছে।
এ ঘটনায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ফারুক জানান, প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধু ও এমপির ছবি ভাংচুরের ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। দুজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।