চীন ভারত যুদ্ধ

‘ভারত-চীনের মধ্যে যুদ্ধ বাধলে কেউ শান্তিতে থাকবেনা’

আচমকা হোক আর পরিকল্পিতই হোক, ভারত-চীনের মধ্যকার এ সংঘর্ষকে খাটো করে দেখার সুযোগ নেই। এ দুটি দেশের মধ্যে যুদ্ধ বাধলে কেউ শান্তিতে থাকবে না। গোটা উপমহাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ভারত-চীন যুদ্ধ মানে বাংলাদেশও বারুদের মুখে।

 

বলছিলেন আন্তর্জাতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। ভারত-চীনের মধ্যকার সম্প্রতি সংঘর্ষের প্রসঙ্গ নিয়ে মুখোমুখি হন একটি অনলাইন ভিত্তিক নিউজ পোর্টলের।

সাক্ষাৎকারের একাংশে তিনি বলেন, ‘গত ৫৩ বছরে ভারত-চীনের মধ্যে এমন সংঘর্ষ প্রত্যক্ষ করা যায়নি। ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের সময় না এলেও হতাহত ব্যাপকই বলতে হয়। ভারতের ২০ সেনা নিহত হওয়ার খবর এসেছে৷ একজন পূর্ণাঙ্গ কর্নেল নিহত হয়েছেন। চীনে ভারতের বেশ কয়েকজন আটক আছেন। কেউ কেউ নদীতে ডুব দিয়েছেন। হতাহত ৪০ বা ৪৫-ও হতে পারে, বলছে ভারতের মিডিয়া।’

 

india-01

লাদাখের রাস্তায় ভারতীয় সেনা ট্রাকের বহর

‘ভারতও দাবি করছে, চীনের ৪৩ সেনা খতম। খবর সত্য হলে, ঘটনার ভয়াবহতা উল্লেখ করার মতো। ছয় ঘণ্টার যুদ্ধে এত সেনার মৃত্যু দু’দেশের জন্যই ভাবনার বিষয়।’

সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আলোচনা হচ্ছে শান্তির জন্য। কিন্তু ভারত-চীনের সীমান্তবর্তী লাদাখের এই অঞ্চল নিয়ে আলোচনা চলছে বেশ ক’বছর ধরে। এর মধ্যেই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। বহু-দিনের, বহু-জেরের একটি চূড়ান্ত রূপায়ন ঘটেছে লাদাখে। যে কারণে হিসাব সহজে মিটবে বলে বিশ্বাস করি না। এ সংঘর্ষের জের আরও গড়াতে পারে।

india-01

চীনা সেনা ট্রাক এবং সাঁজোয়া গাড়ির বহর (উপরে)। ভারতীয় সেনা বহরের জমায়েত (নিচে)। মার্কিন সংস্থা প্ল্যানেট ল্যাবের প্রকাশ করা উপগ্রহ চিত্র

 

আন্তর্জাতিক এ বিশ্লেষক বলেন, ‘ভারতের বেল্ট থেকে নেপাল বেরিয়ে গেছে। পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের যুদ্ধংদেহী অবস্থা বিরাজমান। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক রাজনৈতিক এবং তা একতরফা। ভুটানও প্রভাবিত হবে। তবে বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক অর্থনৈতিক এবং উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে। সঙ্গত কারণেই ভারতের সঙ্গে চীনের যুদ্ধ বাধলে তা গোটা উপমহাদেশের জন্য অশনিসংকেত। বিশেষ করে স্ব স্ব স্বার্থ থেকে সবার সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।’

 

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com