যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ

বন্দর প্রতিনিধি, প্রেসবাংলা২৪ডটকম: বন্দর উপজেলায় যৌতুকের দাবিতে এক গৃহবধুকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। মৃত গৃহবধুর নাম সোনিয়া আক্তার তামান্না (২০)। তামান্না জেলার সোনারগাঁও উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের পানাম গাবতলী এলাকার শহিদুল্লার মেয়ে।
শুক্রবার (১২ জুন) সকালে এক মানবাধিকার কর্মী তামান্নার বাবার বাড়িতে মোবাইলে ফোন করে মৃত্যুর খবর জানায়।
তামান্নার স্বজনরা জানান, প্রায় ৮ মাস আগে জেলার বন্দর উপজেলার আমিরাবাদ বটতলা এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে ফয়সাল (২৩)এর সাথে প্রেমের সম্পর্কে তামান্নার বিয়ে হয়। স্বামী ফয়সালের পরিবার দীর্ঘদিন মেনে না নিলেও পরবর্তীতে ১ লক্ষ টাকা যৌতুক দেয়ার পর তামান্নাকে পুত্রবধূ হিসেবে স্বামীর বাড়িতে মেনে নেয়। তবে কিছুদিন পরেই আবার টাকার জন্য তামান্নাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা শুরু হয় স্বামীর বাড়িতে। সর্বশেষ গত ২দিন আগে তামান্না তার ভাইকে ফোন করে জানায় যে তার স্বামীকে আরও টাকা না দিলে তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দিয়েছে।
তবে তামান্নার শ্বশুরবাড়ির লোকজন এ ঘটনা গোপন রাখে এবং তার বাবার বাড়িতে খবর না দিয়ে লাশ খাটে ফেলে পুলিশকে খবর দেয়। শ্বশুর বাড়ির লোকজন তামান্নার মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করেন তামান্নার স্বজনরা।
এ বিষয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়া বন্দর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হানিফ বলেন, তামান্নার মৃত্যুর খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে খাটের ওপর তার লাশ দেখতে পাই। এটা হত্যা না আত্মাহত্যা তা শনাক্ত করতে ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তবে সোনিয়ার স্বজনদের অভিযোগ, দাবিকৃত যৌতুক না দেয়ায় তামান্নাকে তার স্বামী নির্যাতন করে হত্যা করেছে।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, গৃহবধূ তামান্নার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সদরের ১শ’ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। তার মৃত্যুর ব্যাপারে তদন্ত করা হচ্ছে। ময়না তদন্ত রিপোর্টে যদি হত্যাকান্ড বলে প্রমানিত হয়, তবে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।