‘মানুষের সুরক্ষা ও কল্যাণের কথা চিন্তা করেই কাজ করে যাচ্ছি’
প্রতিবেদক, প্রেসবাংলা২৪ডটকম: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনাভাইরাসের এই সমস্যাটা শুধু বাংলাদেশে নয়, পুরো বিশ্বের একটা সমস্যা। অর্থনীতি, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সবকিছুতে একটা স্থবিরতা এসে গেছে। আমরা প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছি এই করোনাভাইরাস থেকে মানুষকে রক্ষা করতে। আমরা মানুষের সুরক্ষা ও কল্যাণের কথা চিন্তা করেই কাজ করে যাচ্ছি।
বৃহস্পতিবার (৪ জুন) প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে অনুদান প্রদানের চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিং এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, যেহেতু অর্থনীতির অবস্থা একেবারে স্থবির রয়েছে, কাজেই আমরা কিছু কিছু ক্ষেত্রে উন্মুক্ত করেছি, কারণ মানুষকে তো বাঁচাতে হবে। এভাবে স্থবির হয়ে থাকলে, কর্মকাণ্ডগুলো না চললে কতটা সহযোগিতা করা সম্ভব? তারপরেও বলব এই কয়েক মাসে আমরা দেশের প্রতি স্তরের মানুষকে ব্যাপকভাবে সহায়তা করেছি। সরকারের পক্ষ থেকে যেমন করেছি তেমনি আমাদের দলের পক্ষ থেকে করেছি, তাছাড়া অনেক সাধারণ মানুষ বিত্তশালী তারাও মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশের মানুষের এই আন্তরিকতাটা আছে দেখেই কিন্তু এখন আমার দেশের মানুষ অন্তত পক্ষে খেতে ও চলতে পারছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিম্ন, মধ্যবিত্ত, খেটে খাওয়া মানুষ থেকে শুরু করে সর্বস্তরের মানুষের জন্য সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছি। চিকিৎসা সেবা ব্যাপকভাবে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি এবং দিয়ে যাচ্ছি। বিনা পয়সায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। করোনাভাইরাসের টেস্ট করা বা চিকিৎসা করা বেশ ব্যয় সাপেক্ষ তারপরেও করে যাচ্ছি। পাশাপাশি অর্থনীতি কর্মকাণ্ড যাতে চলে সেদিকে লক্ষ্য রেখে শিল্প থেকে শুরু করে সবাই যেন কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে সেজন্য প্রণোদনাও দিয়ে যাচ্ছি। জিডিপির ৩.৭ ভাগ প্রণোদনা দিয়ে যাচ্ছি।
দুঃখজনক হলো যে ২০২০ সাল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করব সেজন্য ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছিলাম। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে জনগণের স্বাস্থ্য এবং তাদের দিকে লক্ষ্য রেখেই সমস্ত কর্মসূচিগুলো বিশেষ করে যেখানে জনসমাগম হয় সেগুলো স্থগিত করে দেই। আমরা ডিজিটাল পদ্ধতিতে যতটুক সম্ভব করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়েছিলাম বলেই এতো কিছু সম্ভব হচ্ছে। মানুষকে সহযোগিতা দেওয়া, টাকা পৌঁছানো, চিকিৎসা সেবা দেওয়া বা ঘরে বসে চিকিৎসা পরামর্শ যাতে পায় সেই ব্যবস্থা করা, ক্রয় বিক্রয়, আত্মীয়-স্বজনের সাথে কথা বলা, চিকিৎসা সেবা অনলাইন মাধ্যমে করে যাচ্ছি। ডিজিটাল বাংলাদেশের কারণেই এসব সম্ভব হয়েছে।
দেশবাসীকে দোয়া করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনারা সবাই দোয়া করবেন যেন এই করোনাভাইরাস থেকে বাংলাদেশ মুক্তি পায়। যদিও এখনও বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় অবস্থানটা ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছি। তবে গ্লোবাল ভিলেজে কেউ একা চলতে পারে না। এক জায়গায় কিছু হলে অন্য দেশে সংক্রামিত হয়, সেইভাবেই আমরা সংক্রামিত হয়েছি। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি এদেশের মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত করতে, তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত করা ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল করা তাদের সামাজিক নিরাপত্তা দেওয়া সব দিক থেকে যেন কাজ করতে পারি সেভাবেই চেষ্টা করছি।