মলাইশ-শাহজাদাপুর সড়কের বেহালদশা

সরাইল প্রতিনিধি,প্রেসবাংলা২৪ডটকম: ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও সরাইল উপজেলায় যোগাযোগ করার জন্য এটি একমাত্র সড়ক ব্যবস্থা মলাইশ-শাহজাদাপুর সড়ক। কিন্তু বড় দুর্ভাগ্যের বিষয় স্বাধীনতার ৪৮ বছর পেরিয়া গেলেও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের মলাইশ- শাহজাদাপুর সড়ক দীর্ঘদিন ধরে ৪ কিলোমিটার সড়কটির জন্য ১৮’শ পরিবার সীমাহীন জনদুর্ভোগে ভূগছেন। ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে দুই শতাধিক শিক্ষার্থীর শিক্ষা জীবন। এরপর বছরের প্রায় সাত মাসই পানি থাকে খোয়ালিয়ার খালে। এখানের ব্রিজ ও সড়কের স্বপ্ন দেখেই সময় পার করছেন ওই জনপদের মানুষগুলো। সরকারি সেবা বঞ্চিত হচ্ছে বিশ সহস্রাধিক লোক।
প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে শত শত যানবাহন। বৃষ্টি হলেই সড়কে পানি আটকে থাকে কয়েক দিন। ভাঙাচোরা সড়ক দিয়ে যান চলাচল করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। যানবাহনের যন্ত্রাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা। অনেকটা ইঞ্জিনের শক্তি দিয়ে যুদ্ধ করেই যাচ্ছেন চালকরা। আবার কাঁদায় আটকে যাচ্ছে। চালকের সাথে নিরুপায় যাত্রীরাও। জুতা খুলে যাত্রীরা নেমে পড়ছেন। প্যান্ট ওপরে তুলে লুঙ্গি কাচা দিয়ে অটোরিকশাকে ঠেলে পার করছেন। আর মহিলা যাত্রীরা অনেক কষ্ট করে পায়ে হেঁটে যাচ্ছেন।
ইউপি সদস্য মোঃ আজহার মিয়া জানান, সড়কে এমন চিত্র নিত্যদিনের। বছরের ৭ মাসই এখানে নৌকা চলে। সন্ধ্যার পর গ্রাম থেকে কোথাও যাওয়া বা আসার চিন্তা করাই দুরহ বিষয়। এভাবেই আমরা চলছি। গ্রামের মোঃ সোহাগ আহমেদ ফেসবুক পেইজে আক্ষেপ করে বলেন,সরাইল থানার অন্তর্ভূক্ত অবহেলিত গ্রাম আমাদের এই শাহজাদাপুর। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও সরাইল উপজেলায় যোগাযোগ করার জন্য মলাইশ-শাহজাদাপুর রাস্তাটি একমাত্র সড়ক ব্যবস্থা। কিন্তুু বড় দুর্ভাগ্যের বিষয় স্বাধীনতার ৪৮ বছর পেরিয়া গেলেও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের মলাইশ- হজাদাপুর রাস্তার কাজ বাস্তবায়ন হয়নি।সাফল্যের ছোঁয়া থেকে আমরা বঞ্চিত। বর্ষার মৌসুমে রাস্তায় কাঁদায় পূর্ন হয়ে যায়। দেখার মতো কেউ নেই।
অটোরিকশা চালক মনির মিয়া বলেন, এ সড়কে পেটের জন্য গাড়ি চালায়। রোগী নিয়ে যেতে পারি না। বৃষ্টির পরে গাড়ি চালালে রাতে ঘুমাতে পারি না। সারা শরীর প্রচ- ব্যাথা করে। সরকারী কর্মকর্তা, প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষক, স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মকর্তাসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের কর্মর্তারগণ একবার আসলে দ্বিতীয়বার আসতে চাই না। জনগুরুত্বপূর্ন এই সড়কটি শিগগিরই সংস্কার করে এলাকাবাসীর দুর্ভোগ লাঘব করবে এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয়দের।