কুড়িগ্রামে পৃথক অভিযানে ৮ মাদক ব্যবসায়ী আটক

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি, প্রেসবাংলা২৪ডটকম : ৩০ মে রাত থেকে ৩১ মে রাত পর্যন্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান বিপিএম’র নির্দেশনায় কুড়িগ্রাম জেলার ভূরুঙ্গামারী, ফুলবাড়ি, রৌমারী ও কুড়িগ্রাম সদর থানা এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করার কথা জানা গেছে।

এসময় ভূরুঙ্গামারীতে  ইয়াবা সহ ৩ জন, ফুলবাড়িতে গাজা সহ ২ জন, রৌমারীতে ১ জন এবং কুড়িগ্রাম সদরের ২ জন সহ মোট ৮ জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটকের খবর পাওয়া গেছে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পুলিশ সুপারের নির্দেশনা মোতাবেক ভূরুঙ্গামারী থানা পুলিশের মাদক উদ্ধারের বিশেষ অভিযানে ভুরুঙ্গামারী এলাকার নলেয়া গ্রামের শওকত আলীর পুত্র এরশাদ আলী (৪০) একই এলাকার মৃত শামসুল হক চৌধুরীর ছেলে নিয়ামুল হক চৌধারী ওরফে নিখিল (৪০)  ভূরুঙ্গামারীর কামাত আঙ্গারিয়া নিবাসী শহিদুল ইসলামের পুত্র শামসুজ্জোহা সাজু মাদক ব্যবসায়ীদের নলেয়া থেকে ৩০ পিছ ইয়াবাসহ আটক করে পুলিশ। আসামীদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে নিয়মিত মামলা রুজু করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।

ফুলবাড়ি থানা পুলিশ ৩১ মে রবিবার সকালে জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি তদন্ত) নবিউল হাসানের নির্দেশে এসআই আঃ কাদের ও এএসআই দীপেশ অভিযান চালিয়ে উপজেলার খড়িবাড়ী বাজার থেকে ২ কেজি গাঁজা ও একটি মোটরসাইকেলসহ দুই মাদক বিক্রেতাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

আটককৃতরা হলেন, উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের মধ্য কাশিপুর (তেলিটারি) গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে আলেফ উদ্দিন (৩৫) ও উত্তর অনন্তপুর গ্রামের মৃত আশরাফ আলীর ছেলে বজলুল হক (৩৫)। তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে যা ফুলবাড়ী থানায় মামলা নং-১৬।

অপরদিকে কুড়িগ্রাম সদর যাত্রাপুরের মাদকসম্রাট একাধিক মাদক মামলার আসামী মোহাম্মদ হানিফ (৫৫) ও মোহাম্মদ রফিকুল (৩২) কে ২৫ গ্রাম হেরোইনসহ আটক করা হয়েছে। আসামীদের নামে মাদকবিরোধী মামলা রজু করা হয়েছে।

রৌমারী থানা পুলিশ মাদক বিরোধী এক অভিযান পরিচালনা করে রৌমারীর ঘুঘুমারি এলাকার আঃ হামিদের পুত্র আবু সাঈদ মিয়া (৪৫) কে ২৭ পিছ ইয়াবাসহ আটক করে। আসামীর বিরুদ্ধে মাদক নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা রুজু করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান বিপিএম বলেন, করোনাভাইরাস সংকট মোকাবেলায় জেলা পুলিশ কুড়িগ্রাম কাজ করছে। এর পরেও নিয়মিত রুটিন ওয়ার্কের পাশাপাশি মাদক বিরোধী অভিযান অব্যাহত রয়েছে। যারা খুব আনন্দে আছেন এ অভিযান তাদের জন্য আরো খুশীর হতে পারে। মাদক বিরোধী অভিযানে তথ্য সরবারহকারীদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, জনগণ প্রতিরোধ গড়ে না তুললে পুলিশ মাদক নিয়ন্ত্রনে তেমন সফলতা পাবে না। তিনি তথ্যদিতে জেলাবাসীর কাছে আহবান জানান এবং তথ্যদাতা ও মাদক নির্মুলে সহায়তাকারিদের নাম পরিচয় গোপন রাখার পাশাপাশি তাদের নিরাপত্তা দিবে পুলিশ।

 

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com