লাইফ সাপোর্টে কাউন্সিলর খোরশেদের স্ত্রী

 

 

প্রতিবেদক, প্রেসবাংলা২৪ডটকম: করোনার এই ক্রান্তিকালে নিজের জীবনকে তুচ্ছ করে সাধারণ মানুষের কাছে ছুটে চলা নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের স্ত্রী আফরোজা খন্দকার লুনা লাইফসার্পোটে রয়েছেন।

রোববার (৩১ মে) তাকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে সস্ত্রীক ভর্তি খোরশেদ।

 

গত ২৩ মে করোনা শনাক্ত হয় তার স্ত্রী আফরোজা খন্দকার লুনার। আর গত শনিবার (৩০ মে) নিজেও করোনায় আক্রান্ত হন মাকুসদুল আলম।

 

শনিবার রাত থেকেই শ্বাসকষ্টে থাকায় নারায়ণগঞ্জের বেশ কয়েকটি হাসপাতাল ঘুরে কাঁচপুরের সাজেদা হাসপাতালে উভয়ে ভর্তি হন। কিন্তু সেখানে ভ্যান্টিলেশন সুবিধা না থাকায় পরে তাকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই রোববার বিকাল থেকে লুনা লাইফসার্পোটে রয়েছেন।

‘করোনা বীর’ মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ নিজেও করোনায় আক্রান্ত। তবে তিনি দাবি করেছেন, বেশ সুস্থ আছেন। তবে স্ত্রীর জন্য সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন।

এখন যুদ্ধ করছেন নিজের প্রিয়তমা স্ত্রীর জীবন বাঁচাতে। স্ত্রী আফরোজা খন্দকার শনিবার রাত থেকেই লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন। কাঁচপুরের সাজেদা হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার সংকটাপন্ন স্ত্রীর পাশে থেকেই সবার কাছে জানিয়েছেন দোয়ার আবেদন। তারা দু’জনই সুস্থ হয়ে ফিরে আসতে চান সবার মাঝে। বাড়িতে রেখে গেছেন আদরের ধন ৩ সন্তানকে।

 

করোনার হটস্পট হিসেবে পরিচিতি পাওয়া নারায়ণগঞ্জে কোভিড-১৯ রোগীর লাশ যখন স্বজনরাও হাসপাতালে ফেলেই ভয়ে পালিয়ে গেছেন, তখন দেশে-বিদেশে মানবতার ফেরিওয়ালা উপাধি পাওয়া কাউন্সিলর খোরশেদ ছুটে যেতেন দাফন ও সৎকারে। একে একে ৬১টি লাশের দাফন ও সৎকার করেছেন তিনি। বাবার লাশের পাশে ছেলে না থাকায় একজন মুসলমান হয়ে হিন্দু লাশের মুখাগ্নি করে অসাম্প্রদায়িকতার নজির স্থাপন করেছেন।

 

রোববার নিজের আর স্ত্রীর অবস্থা জানাতে গিয়ে বিন্দুমাত্র বিচলিত হননি এই করোনা বীর। প্রায় ২মাস ধরে করোনা পরিস্থিতির সঙ্গে যুদ্ধ করে আর সাধারন মানুষের ভালোবাসা, দোয়া যেন অনেক বেশি শক্তিশালী করে তুলেছে তাকে।

 

কাউন্সিলর মাকসুদ বলেন, আমার স্ত্রী অবস্থা সংকটাপন্ন। আমি সবার কাছে দোয়া চাই। তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। তার ৯০ শতাংশ শ্বাসকার্য এখন সিলিন্ডারের অক্সিজেন সাপোর্টে সম্পন্ন হচ্ছে।

 

সৃষ্টিকর্তার কাছে তার সুস্থতা কামনা করি। শনিবার রাতে আইসিইউতে লাইফ সাপোর্ট চাইলেও সেটি সম্ভব হয়নি।

 

মাকসুদ আরও জানান, আল্লাহর ইচ্ছায় আমরা করোনা পজিটিভ হয়েছি। তাই স্বশরীরে উপস্থিত না থাকলেও আমাদের দাফন টিম, টেলিমেডিসিন, প্লাজমা সংগ্রহ, সবজি বিতরণ, মধ্যবিত্তের জন্য ভর্তুকি মূল্যে খাদ্যপণ্য বিক্রি ও ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।

 

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com