ধামরাইয়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যু, সাভারে আক্রান্ত ২০
সাভার প্রতিনিধি, প্রেসবাংলা২৪ডটকম: রাজধানীর সন্নিকটে ধামরাইয়ে এই প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আনছার আলী (৬০) নামে এক চাল ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। রোববার ভোরে ধামরাইয়ের ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের কাকরান গ্রামের নিজ বাড়িতে তিনি মারা যান।
এর আগে শনিবার রাত সোয়া ১২টার দিকে আনছার আলী ও তার মেয়ে তাহমিনা আক্তার এবং মেয়ের জামাই স্বাস্থ্যকর্মী আব্দুল্লাহর করোনা পরীক্ষায় ফলাফল পজেটিভ আসে।পরে ভোরেই আনছার আলী মারা যান।
ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহ আলম জানান, ধামরাইয়ের কাকরান গ্রামের ছাবেদ আলীর ছেলে আনছার আলী গত কয়েকদিন ধরে জ্বর-কাশি ও ঠাণ্ডায় ভুগছিলেন। গত ২৮ মে আনছার আলী, তার মেয়ে তাহমিনা আক্তার ও মেয়ের জামাই নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রোর ল্যাব টেকনোলজিস্ট আব্দুল্লাহর করোনার নমুনা নিয়ে যান ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেরে চিকিৎসকরা। নমুনা সংগ্রহের পর তা ঢাকার পাঠানো হলে শনিবার রাত সোয়া ১২টার দিকে পরীক্ষায় তাদের তিনজনের রির্পোট পজেটিভ আসে। এরপর রাতেই উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নূর রিফফাত আরা করোনা পজেটিভের বিষয়টি জানান। পরে রোববার ভোর রাতে আনছার আলী নিজ বাড়িতেই মারা যান।
ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নূর রিফফাত আরা জানান, রোববার পর্যন্ত ধামরাই উপজেলায় করোনা সন্দেহে ৯৯৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ১০৪ জনের করোনা পজেটিভ রিপোর্ট এসেছে। এদের মধ্যে ১০ জন সুস্থ হয়েছেন এবং তিনজন আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন। অন্যরা বাড়ি থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। রোববার ভোরে প্রথম ধামরাইয়ে আনছার আলী নামে করোনা আক্রান্ত এক ব্যক্তি মারা গেছেন। ওই পরিবারের আরও দু’জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তবে তারা সুস্থ আছেন।
ধামরাই থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা জানান, সকাল ৯টায় ধামরাই থানা পুলিশের সহযোগিতায় আনছার আলীর লাশ দাফন করা হয়েছে।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে ধামরাই উপজেলায় কেউ মারা গেলে তার পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা অনুদান দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাদ্দেছ হোসেন। নিহত আনছার আলীর পরিবারকেও ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
এদিকে সাভারে নতুন শনাক্তের বিষয়ে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্তের জন্য গত শুক্রবার সাভার থেকে ৫১ জনের নমুনা সংগ্রহ করে বিএলআরআই ল্যাবে পাঠানো হয়েছিল। গতকাল শনিবার নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন আসে। এতে ২০ জনের কোভিড-১৯-এ হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে স্থানীয় দুজন সাংবাদিক রয়েছেন।
সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সায়েমুল হুদা বলেন, কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত সন্দেহে যত বেশি মানুষের নমুনা সংগ্রহ করা হয়, শনাক্তের সংখ্যা তত বেশি হয়।